নিভৃতচারী এক করোনাযোদ্ধার নাম সনজয় সেন। পেশায় পল্লী চিকিৎসক। পাশপাশি জাতীয় দৈনিক ভোরের দর্পন পত্রিকার পটিয়া উপজেলা প্রতিনিধি। পটিয়া পল্লী চিকিৎসক সমিতির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে পল্লী ডাক্তারদের জন্য নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা করেছেন পিপিই। নিজে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীন। কোন রোগীকেই ফিরিয়ে দিচ্ছেনা বিনা চিকিৎসায়।
এতো গেলো পেশাগত দায়িত্ব। এর বাইরে অসহায় দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন বিভিন্ন সামগ্রী। দুর্যোগকালীন এই সময়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। প্রায় দিন অভুক্ত মানুষকে গোপনে নিজে পৌঁছে দিচ্ছেন ত্রাণ।
রবিবার রাত ১টায় পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ও হাইদগাঁও গ্রামে নিজের মোটরসাইকেলে পৌঁছে দিয়েছেন ত্রাণের উপহার। মানবতার এই ফেরিওয়ালা ইতোমধ্যে হাইদগাঁও, চন্দনাইশের দিয়াকুল, ধলঘাট এলাকায় গোপনে দিনে ও গভীর রাতে দফায় দফায় নিজে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী। স্বেচ্ছায় এ রক্তদাতা শুধু করোনায় নয়, সবসময় এলাকার মানুষের বিপদে আপদে এগিয়ে আসেন সবার আগে।
রাত জেগে এ মানবপ্রেমী মানবিক মানুষটি মোটরসাইকেলযোগে অনেক রোগীকে পৌঁছে দিয়েছেন শহরের নির্ধারিত হাসপাতালে। বিতরণ করেছেন হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, সেনিটাইজারসহ করোনারোধী নানা উপকরণ।
নিজ গ্রাম চন্দনাইশের দিয়াকুল এবং বেড়ে ওঠা ও পেশাগত কর্মস্থান পটিয়ার হাইদ গাঁও গ্রামের মানুষের কাছে এ পল্লী চিকিৎসক আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছেন ভালবাসার, স্নেহ ও মমতার। পরম প্রাপ্তির এ আর্শিবাদকে পুঁজি করেই আমরণ মানুষের পাশে থাকতে চান এ মানবিক পল্লী চিকিৎসক।
জানতে চাইলে প্রচার বিমুখ হাস্যজ্জ্বোল সনজয় সেন বলেন, আমার সাধ্যমতো আমি চেষ্টা করছি মানুষের পাশে থাকার, আমার চেষ্টা হয়তো নিতান্তই অপ্রতূল। তারপরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রভাবে হলেও সবার এগিয়ে আসা উচিত। নিজের এত ব্যস্ততার পরও ফোন পেলেই চেষ্টা করি ছুটে যাওয়ার কাংখিত সেবা গ্রহীতার দুয়ারে। বাকীটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। তিনি যতদিন প্রাণ শক্তি যোগাবেন, ততদিনই করে যাব।
Developed By Muktodhara Technology Limited