image

বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই

image

বাংলাদেশে করোনার থাবা দিন দিন চওড়া হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। পহেলা মে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ২৩১ জন। ১৫ই মে বিশ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্বে যেসব দেশ করোনা ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত তার মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ৩০ তম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২০২ জন। এ যাবৎ কালে এটাই সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৮ জনে। মোট শনাক্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৬৫ জন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ মনে করেন দেশে করোনার টেস্ট যথেষ্ট পরিমাণে হচ্ছে না। এমনকি যেভাবে টেস্টের জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়ায় তাও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এসব সেন্টারে প্রচণ্ড ভিড়। গাদাগাদি করে মানুষ লম্বা লাইনে দাঁড়ায়। গায়ের উপর গা ঘেঁষে দাঁড়ায়। যেভাবে লোকজন দাঁড়ায় তাতে সুস্থ থাকলেও ভাইরাস ছড়াতে পারে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা, বয়স্ক নারী-পুরুষ, রোগী তাদের জন্য এভাবে লাইনে দাঁড়ানোটা খুবই বিপদজনক। ডা. আবদুল্লাহ মনে করেন এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে ল্যাবের সংখ্যা বাড়িয়ে। এখন ৪১টি ল্যাবে টেস্ট হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুল্লাহ গণপরিবহন চালু করার বিপক্ষে। তার মতে এতে করে বিপদ আরো বাড়বে।

ওদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনার লক্ষণ নিয়ে যাওয়া রোগীদের ভর্তি না করার রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। লন্ডন ভিত্তিক এই সংস্থাটি বলেছে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাতে বেশ কিছু ঘাটতি রয়েছে। অ্যামনেস্টি তদন্ত করে দেখেছে যে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা দেয়ার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও করোনার লক্ষণ নিয়ে যাওয়া রোগীদের ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হাসপাতালগুলো।

খবর : ভয়েস অব আমেরিকা