image

কর্ণফুলীতে আরও একজন মিলে পূর্ণ হলো ডজন : হদিস মিলেনি সাথীর

image

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটায় ২২ বছর বয়সী এক যুবকের দেহে করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়েছে বৃহস্পতিবার (২১ মে) এর রিপোর্টে। ফলে দক্ষিণের এ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২জন মানে একডজন পূর্ণ হলো।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী। পাশাপাশি আক্রান্তের বাড়ি লকডাউনের প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে কর্ণফুলী থানা পুলিশ নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ঠিকানা গড়মিল থাকায় চরলক্ষ্যার ২৭ বছর বয়সী হাসান ও ইছানগরের ২০ বছর বয়সী সাথীর খোঁজ ছিলনা গতকাল পর্যন্ত। এ দুজনের মধ্যে আজ হাসানের পুর্ণ ঠিকানাসহ খোঁজ মিলে চরলক্ষ্যার ৭নং ওয়ার্ডে। তবে এখনও ২০ বছর বয়সী সাথীর কোন হদিস মিলেনি।

জানা যায়, এর আগে গত ২৮ শে এপ্রিল কর্ণফুলীতে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হন ইছানগর এলাকার ৬৩ বছর বয়সী এক মহিলা। যিনি আক্রান্ত হয়ে পরে জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা যান।

১৩ মে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে পেজ্জান বাপের বাড়ির সৈন্যারটেকের ডিভাইন ফ্যাক্টরীতে চাকরিরত ৩২ বছর বয়সী এক গার্মেন্টসকর্মীর দেহে করোনা সনাক্ত হয়।

১৪ মে খবর আসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে জুলধা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবপাড়া এলাকার ৬০ বছর বয়সী আরেক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। যদিও করোনা সনাক্ত হয় মৃত্যুর পরে। একই দিন রাতে বিআইটিআইডির নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ আসে শিকলবাহা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ৩৫ বছর বয়সী এক যুবকের। যিনি বাকলিয়া বসবাস করেন।

১৫ মে রাতে বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর ৫নং ওয়ার্ডের মরহুম নোয়াব আলী মেম্বার বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার ৯ বছর বয়সী শিশু মেয়ের দেহে করোনা পজেটিভ আসে।

১৮ মে রাত সাড়ে ১১টায় সিভাসু রিপোর্টে একই উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আইজ্জানা বাপের বাড়ির একজন পুরুষ (যার বয়স-৪০) ও একজন নারী (বয়স-৩৪) নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে একজন গার্মেন্টসকর্মী ও অন্যজন সিএনজি চালাক।

২০ মে চরপাথরঘাটা ৩নং ওয়ার্ড খাঁন বাড়ির ২১ বছর বয়সী নারী গার্মেন্টসকর্মীর সহজে খোঁজ মিলে। খোঁজ মিলে চরলক্ষ্যা ৭নং ওয়ার্ড ২৫ বছর বয়সী আরেক নারী গার্মেন্টসকর্মীর। এরা স্থানীয় ডিভাইন ও ফোর এইচ গ্রুপ ফ্যাক্টরীতে কাজ করেন।

উপজেলায় এ পর্যন্ত ১২ জন রোগী করোনায় আক্রান্ত হন। যার মধ্যে দুজনের মৃত্যু ঘটে।

গত ২৫ দিনে ১২ রোগী সনাক্ত হয় কর্ণফুলীতে। সব রোগীর ক্ষেত্রেই খবর পাওয়ার সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্যবিভাগ ও পুলিশ বিভাগের লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউন করছেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেশির ভাগ রোগীই নিজ নিজ বাসায় রয়েছেন। তবে প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য তাদের নগরীতে স্থানান্তর করা হবে বলে স্বাস্থ্যবিভাগ জানান।