১৯৭১ সালে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তেমনি বর্তমান বিশ্বে করোনা ভাইরাস যুদ্ধে বিধ্বস্ত অর্থনীতি আর জনজীবনের অচলাবস্থায় আমার রাজনৈতিক অভিভাবক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর সেবক ঢাকা-১০ আসনে তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও উন্নয়নের রূপকার ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন। সেই সঙ্গে আমিও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্ব গ্রহন করেছি।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর আমি দায়িত্বভার গ্রহণের আগে থেকেই ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এলাকার কর্মহীন মানুষ এবং পরিবারগুলোরকে খাদ্য সহায়তায় চালু রেখেছি। এ ছাড়া আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এর পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। আমাদের থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং এলাকার শিল্পপতিরাও ব্যক্তিগত উদ্যোগে গত তিন মাস ধরে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখেছেন।
জিন্নাত আলী বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময় আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেন্জ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা, এডিশ মশা দমনসহ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা। ঢাকা দঃ সিটি কর্পোরেশনের নব- নির্বাচিত সদ্য দায়িত্ব নেয়া ২২ নং ওয়ার্ড হাজারীবাগের কাউন্সিলর মোঃজিন্নাত আলী আরো বলেন, পুরান ঢাকার জনবহুল হাজারীবাগে আমার প্রধান কাজই হবে মাদক, মশক মুক্ত,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এলাকা গড়া এবং নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা।
সিটিজি সংবাদ.কম এর সাথে একান্ত আলাপচারিতায় নবনির্বাচিত কাউন্সিলর জিন্নাত আলী বলেন, আমি পুরান ঢাকারই সন্তান।পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গড়তে হলে নাগরিক সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। স্হানীয় জণগনের সম্পৃক্ততা ছাড়া উন্নয়ন আর অগ্রগতি কোনটাই সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে আমরা সামাজিক সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবো। গত কয়েক দশক ধরেই সামাজিক সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড এখন আগের মতো চোখে পড়ে না। পাড়া-মহল্লায় নেই শিশু- কিশোর তরুণ সমাজের খেলাধুলা, নেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান। সামাজিক সংগঠনগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে কিশোর- তরুণ সমাজককে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করা সম্ভব বলে তিনি দৃঢভাবে বিশ্বাস করেন।
তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবক নগর সেবক মেয়র মহোদয় যে ৯০ দিনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবেন প্রথমে আমরা তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবো। আর যেকোন কাজ বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক ব্যাপার রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের শ শ কোটি টাকা দেনার বোঝা নিয়ে মেয়র দায়িত্ব গ্রহন করেছেন। গত ছয় মাস ধরে মশকনিধনে বড় কোন ক্রাশ প্রোগ্রাম ছিলোনা বললেই চলে। তাই মশক নিধনও একটি বড় চ্যালেন্জ হয়ে দাড়িয়েছে।
জিন্নাত আলী মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, আমার ওয়ার্ডে কোন মাদক ব্যবসায়ীর স্হান হবে না। সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের বিতারিত করা হবে।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজ এদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় হয়না। যারা তাদের লালন পালন করবে বা প্রশ্রয় দিবে তাদেরকেও চিহ্নিত করে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবেই বয়কট করা হবে।
তিনি বলেন, এলাকাবাসী আমাদের কাছে বাড়ি-গাড়ি চায় না, তারা চায় শান্তিতে সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে। আমরা সেই কাজটিই করতে চাই।আর তা বাস্তবায়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকেই সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আমি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হলেও শপথ নেয়ার পর আমি এলাকার সকলের কাউন্সিলর বা জনপ্রতিনিধি। জনগনের সেবা ও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করাই আমার কাজ।তাই সকলের সহযোগিতা চাই।সেই সঙ্গে আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাদের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই। যারা ভোট দেয়নি তাদের প্রতিও আমার শুভেচ্ছা রইলো। কারণ আমি এখন সবার জনপ্রতিনিধি।
Developed By Muktodhara Technology Limited