image

টেকনাফে খেলার মাঠে চারা রোপনের খবরে এলাকাবাসীর ক্ষোভ

image

টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া নেচার পার্ক সংলগ্ন একমাত্র খেলার মাঠে বনভূমি কর্তৃক চারা রোপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ সংবাদে এলাকাবাসীসহ টেকনাফের ক্রীড়াবীদ ও সচেতনমহল ফুঁসে উঠেছে। 

অথচ এই মাঠে যুগ যুগ ধরে হ্নীলা-টেকনাফের শিশু কিশোর, তরুন-যুবকরা খেলে আসছে। হঠাৎ করে চারা রোপনের সিদ্ধান্তের খবর পেয়ে পুরো এলাকাসহ গোটা টেকনাফে তা হইচই লেগেছে। 

সচেতনমহল বলছেন, রোহিঙ্গা অধ্যুসিত এই জনপদে কোথাও খেলার মাঠ নেই। কয়েক যুগ ধরে খেলে আসা মাঠে বন বিভাগের কু-নজর কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। শুধু তাই নই, এই মাঠটি ন্যাচার পার্ক সংলগ্ন হলেও তৎকালীন সময়েও খেলার মাঠ হিসেবে রেখে দিয়েছে। যা বর্তমানেও বিদ্যমান রয়েছে।  

১৮ জুলাই শনিবার বিকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দমদমিয়া বনাম জাদিমুরা এলাকার এক ঝাঁক তরুন-যুবক ক্রিকেট প্রীতিম্যাচ খেলছে। অন্যপাশে ফুটবল ম্যাচ। মাটের চারপাশে শত শত কিশোর-তরুন ও অভিভাবক খেলা উপভোগ করছেন। খেলার মাঠের দুই পাশে গোল বার দন্ডয়মান। প্রতিদিন এভাবে খেলা চলতে থাকে। হঠাৎ করে চারা রোপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমত হইচই ও আলোচনার ঝড় উঠেছে। 

সচেতনমহল বলছেন, রোহিঙ্গা অধ্যুসিত এই জনপদে কোথাও খেলার মাঠ নেই। কয়েক যুগ ধরে খেলে আসা মাঠে বন বিভাগের কু-নজর কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। শুধু তাই নই, এই মাঠটি ন্যাচার পার্ক সংলগ্ন হলেও তৎকালীন ন্যাচার পার্ক প্রতিষ্ঠিত সময়েও খেলার মাঠ হিসেবে রাখা হয়েছিল। 

স্থানীয় ও টেকনাফ উপজেলার শিশু-কিশোর ও যুবকদের কথা চিন্তা করে গাছের চারা রোপণ থেকে বিরত থাকা জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

দমদমিয়া যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোঃ ইসমাইল বলেছেন, আমাদের পুর্ব পুরুষ থেকে শুরু করে যুগ যুগ ধরে এই খেলার মাঠে খেলে আসছি। হঠাৎ বন বিভাগ চারা রোপনের সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এতদাঞ্চলে হাজার হাজার একর খালি জমি থাকতে খেলার মাঠে কেন চারা রোপনের সিদ্ধান্ত।

টেকনাফ উপজেলা ক্রিড়া সমিতির সভাপতি মোঃ আলম বাহাদুর জানান, দমদমিয়া বন বিভাগের ফুটবল খেলার মাঠটি দীর্ঘ দিন ধরে টেকনাফ উপজেলার খেলোয়াড়দের খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। অথচ হাজার হাজার একর খালি জমি পড়ে থাকতে বন বিভাগের চারা লাগানোর নজর পড়েছে। যা কোন ভাবে কাম্য নয়। তিনি সংশ্লিষ্টদের সস্থক্ষেপ কামনা করেন।

টেকনাফ রেঞ্জ বন কর্মকর্তা মোঃ আশিক জানান, মাঠে চারা রোপনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের  প্রয়োজনীয় নির্দেশনা রয়েছে। 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম সাইফ জনান, খেলার মাঠে চারা রোপন দুঃখজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।