image

জনসংযোগ পেশার আরেক নাম ব্র্যান্ডিং

image

জনসংযোগ বা পাবলিক রিলেশন্স, সংক্ষেপে পিআর। জনগণের সাথে সংযোগ বা যোগাযোগই হলো জনসংযোগ। আরেকটু সহজ করে বললে- তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানের সাথে আন্ত:যোগাযোগ কৌশলই জনসংযোগ। একটা সময় ছিল যখন জনসংযোগ কিংবা পিআর মানে অনেকের কাছে মনে হতো শুধুই প্রেস রিলিজ ছাপানো। আবার অনেকের কাছে জনসংযোগ মানেই সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে কেবলই নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা কিংবা পাবলিসিটি করা। অনেকে তো এককাঠি সরেশ হয়ে বলেও বসেন- পিআর হচ্ছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সর্বসময়ে বাতাবি লেবুর বাম্পার ফলনের মতো একগেঁয়ে পজেটিভ সংবাদ সরবরাহ করা। তবে জনসংযোগ মানে পজেটিভ সংবাদ পরিবশেন বিষয়টা সত্য হলেও জনসংযোগ কখনোই প্রচারণা কিংবা তোষামোদি হতে পারে না। মনে রাখতে হবে- জনসংযোগ যেন কখনোই মিথ্যা প্রচারণা-প্রোপাগান্ডা কিংবা পেশাগত দায়িত্বের মোড়কে কারো স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না হয়। একইসাথে প্রচারণা-মার্কেটিং এবং জনসংযোগ দুটোর মধ্যে গুলিয়ে ফেলা যাবে না। জনসংযোগ প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জিং একটি পেশা। জনসংযোগ কর্মকর্তার কাজই হলো নিজের প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ ব্যক্তি-গোষ্ঠীর সাথে সংযোগ স্থাপন এবং দ্বি-পাক্ষিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রচার ও সুনাম বৃদ্ধি করা। জনসংযোগ সর্বদাই সত্যনিষ্ঠ হবে। পক্ষান্তরে, প্রচারণা বা মার্কেটিং হচ্ছে যেনতেনভাবে ও সত্য-মিথ্যার মিশেলে ভোক্তাসমাজ তৈরি। অর্থাৎ প্রচারণা বা মার্কেটিংয়ে ভোক্তা থাকবে, বাণিজ্য থাকবে। কিন্তু জনসংযোগে কেবল ভোক্তাবিহীন প্রচার ও সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে নিঃস্বার্থ সংযোগ থাকবে। বর্তমানে জনসংযোগ পেশার ব্যাপ্তি ও পরিসর এতোটাই বেড়েছে যে, জনসংযোগকে বলা হচ্ছে ‘ব্র্যান্ডিং’। একেকজন জনসংযোগ কর্মকর্তাকে এখন শুধু প্রেস রিলিজ কিংবা গণমাধ্যমের সাথে সুসম্পর্ক টিকিয়ে রাখলেই হচ্ছে না। সময়ের চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে তাঁকে ‘সকল কাজের কাজী’ হিসেবে নিজের প্রমাণ করতে হচ্ছে। একজন জনসংযোগ কর্মকর্তাকে একাধারে রিপোর্টার, ফটোগ্রাফার, সম্পাদনাকারী, ভিডিও এডিটর, ডকুমেন্টারি ও ফিল্ম মেকার, ইউটিউবার, দক্ষ যোগাযোগবিদ, সংগঠক, আইডিয়াবাজ, নেতৃত্বদানকারী প্রভৃতি গুণধারী হতে হয়। তবেই তিনি একজন সফল জনসংযোগবিদ হয়ে উঠতে পারেন। যে কারণে বলা হচ্ছে- একজন জনসংযোগ কর্মকর্তার সময়োচিত সঠিক অ্যাপ্রোচ ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে এই পেশাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। 

আপাতদৃষ্টিতে, একটা প্রতিষ্ঠানে মূলত কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় তাঁর কাজ ও সেবার মাধ্যমে সেই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি গড়ে তোলার জন্য। আর ওই কর্মচারীর পদের উপর নির্ভর করেই তাঁর কাজের পরিধি নির্ধারণ করা হয়। যেমন- একজন জনসংযোগ কর্মকর্তার কাজই প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলা। সেক্ষেত্রে কোন ধরণের মিথ্যার আশ্রয় ব্যতিরেকে, বরং সত্যনিষ্ঠ তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমেই প্রচার-প্রসারের কাজ করতে হয়। সেই লক্ষ্যেই কিন্তু বর্তমানে যে কোন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহে জনসংযোগ দপ্তর রাখা হচ্ছে। প্রচলিত অর্থে জনসংযোগ দপ্তরের কাজ এখন শুধুমাত্র গণমাধ্যম তথা সংবাদপত্র-টেলিভিশন নির্ভর প্রেস রিলিজ ছাপানোতেই সীমাবদ্ধ নেই। এর বাইরেও জনসংযোগ কর্মকর্তার কাজ করার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। একটা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও সেবা সম্পর্কে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে জনসংযোগ দপ্তরের প্রচার-প্রসারের কাজটা হতে পারে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ-প্রচারের মাধ্যমে, সাক্ষাৎকার-ফিচার স্টোরির মাধ্যমে, সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক-টুইটার-ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে, উল্লেখযোগ্য ইস্যুতে ডকুমেন্টারি-প্রমোশনাল ভিডিও’র মাধ্যমে, ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য-চিত্র বিনিময়ের মাধ্যমে, বিভিন্ন আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে কিংবা দাপ্তরিক কর্মকান্ডের মাধ্যমেও হতে পারে। 

একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, দেশের প্রত্যেকটা সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় প্রশাসন, সর্বস্তরের গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানসহ ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সাথেও আমাকে যোগাযোগ করতে হয়। দৈনন্দিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত-প্রচারিত বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট খবরবাখবর সংগ্রহ-সংরক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি, মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তরের সাথে চিঠি চালাচালি ও প্রতিবেদন প্রেরণ, অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ তথ্য-উপাত্ত বিনিময়, প্রটোকল প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার-সিম্পোজিয়ামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের প্রোমোশনাল কার্যক্রম ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ, ওয়েবসাইট আপডেট, ফেসবুক গ্রুপ-ইউটিউব চ্যানেল পরিচালন প্রভৃতি কাজ করতে হয়। সুতরাং এত ধরণের মানুষের সাথে যোগাযোগ এবং বিচিত্র সব কাজের মাধ্যমে যেমন আমার বিশ্ববিদ্যালয়কে সকলের কাছে ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ রয়েছে তেমনি আমার ছোটখাটো ভুলের জন্য প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই জনসংযোগ কর্মকর্তাকে সবসময় খুব সাবধানতার সাথে কাজ করতে হয়। সেজন্য জনসংযোগ বিষয়ে একাডেমিক যোগ্যতার পাশাপাশি প্রায়োগিক কাজের দক্ষতার প্রয়োজন। 

জনসংযোগ পেশার সবচেয়ে দুঃখজনক দিকটা হচ্ছে- এখানে ভুলের কোন ক্ষমা নেই। যেহেতু গণমাধ্যম কিংবা সাধারণ মানুষ নিয়েই আপনাকে কাজ করতে হয়, সুতরাং আপনার একটা ভুলের জন্য প্রতিষ্ঠান কোন বড়রকমের ক্ষতি কিংবা ইমেইজ সঙ্কটে পড়তে পারে। যেটা অন্য পেশার মোটামুটি কাটিয়ে ওঠা গেলেও জনসংযোগ কর্মকর্তার জন্য সাপেবর। প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপর্যায় থেকে নিম্নস্তরের সবধরণের মানুষের সাথেই কাজ করতে হয়। এখানে আপনাকে প্রতিটা দিনই সফলতার পরীক্ষা দিতে হয়। ব্যর্থতার কোন সুযোগ নেই। প্রতিটা কাজই আপনাকে নির্ভুলভাবে করতে হবে। যদি আপনি সফলভাবে দিনের কাজ শেষ করতে পারেন তবে সেটা আপনার চাকরি, সেটাই আপনার দায়িত্ব। সেজন্য আপনি কারো প্রশংসাবাক্য পাবেন না। কিন্তু দিনের কোন কাজে যদি আপনি হালকা ভুলও করে বসেন তবে আপনার ব্যর্থতার খবর দ্রুতই ছড়িয়ে পড়বে। কারণ আপনি পুরো প্রতিষ্ঠানের ভার নিয়ে চলেন। যে কারণে অনেকে জনসংযোগের কাজকে ‘থ্যাংকসলেস জব’ বলে থাকেন। তবে এটা প্রতিনিয়ত নিজেকে ঝালিয়ে সুযোগ করে দেয়। 

সম্প্রতি বাংলাদেশের সংবাদপত্রে জনসংযোগ কার্যক্রমের (সংবাদপত্রগুলোতে কি পরিমাণ প্রেস রিলিজ ছাপানো হয়) ভূমিকা নিয়ে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি গবেষণা চালিয়েছিলাম। এতে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা (দৈনিক প্রথম আলো ও দৈনিক কালের কণ্ঠ), দুইটি ইংরেজি দৈনিক (দ্য ডেইলি সান ও দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট) এবং দুইটি আঞ্চলিক পত্রিকার (দৈনিক আজাদী ও দৈনিক পূর্বকোণ) ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের পত্রিকাসমূহের প্রথম পৃষ্ঠা, শেষ পৃষ্ঠা এবং নগর পাতার নিউজ কন্টেন্ট বা আধেয় বিশ্লেষণ করা হয়। যেখানে মূলত ওই তিন পৃষ্ঠায় প্রেস রিলিজ এবং পত্রিকাসমূহের নিজেদের প্রকাশিত মোট সংবাদ ও ছবির তুলনামূলক পার্থক্য জানার চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায়- দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠায় মিলিয়ে একটা প্রেস রিলিজ ছাপালেও নগর পাতায় (পৃষ্ঠা-৬) ফেব্রুয়ারি মাসের মোট আধেয়ের (সংবাদ+ছবি) ২৬ শতাংশ এবং মার্চ মাসের ২৮ শতাংশ আইটেমই ছিল প্রেস রিলিজ। দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠায় কোন প্রেস রিলিজ না ছাপালেও নগর পাতায় (পৃষ্ঠা-১৮) ফেব্রুয়ারি মাসের মোট আধেয়ের (সংবাদ+ছবি) ৪ শতাংশ এবং মার্চ মাসের ৮ শতাংশ আইটেমই ছিল প্রেস রিলিজ। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠায় প্রেস রিলিজ না ছাপালেও নগর পাতায় (পৃষ্ঠা-৪) ফেব্রৃয়ারি মাসের মোট আধেয়ের (সংবাদ+ছবি) ১১ শতাংশ এবং মার্চ মাসের ৫ শতাংশ আইটেমই ছিল প্রেস রিলিজ। দ্য ডেইলি সান পত্রিকায় প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠায় কোন প্রেস রিলিজ না ছাপালেও নগর পাতায় (পৃষ্ঠা-১৪) ফেব্রুয়ারি মাসের মোট আধেয়ের (সংবাদ+ছবি) ২ শতাংশ এবং মার্চ মাসের ৬ শতাংশ আইটেমই ছিল প্রেস রিলিজ। অন্যদিকে দৈনিক আজাদীর প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠায় যথাক্রমে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ দুই মাসেই একই রকম ১ শতাংশ ও ৪ শতাংশ প্রেস রিলিজ এবং নগর পাতায় (পৃষ্ঠা-৩) দুই মাসেই ৮৫ শতাংশ আইটেম ছিল প্রেস রিলিজ। দৈনিক পূর্বকোণেরও প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠায় যথাক্রমে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ২ শতাংশ ও ১০ শতাংশ এবং ১ শতাংশ ও ৬ শতাংশ প্রেস রিলিজ এবং নগর পাতায় (পৃষ্ঠা-৩) ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে যথাক্রমে ৮৩ শতাংশ ও ৮৮ শতাংশ আইটেমই ছিল প্রেস রিলিজ। যদিও এই তিন পৃষ্ঠা ছাড়াও প্রত্যেকটা পত্রিকায় শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনদাতাদের প্রেস রিলিজ ছাপানোর জন্য ‘কর্পোরেট কর্ণার, খবর ও ছবি, প্রেস রিলিজ, ফটো রিলিজ, ফটো ক্যাপশন, সংগঠন সংবাদ, সংবাদ সংক্ষেপ’ প্রভৃতি নামে আলাদা পৃষ্ঠা কিংবা কর্ণার রাখা হয়। এর বাইরে গিয়ে একটা পত্রিকার মেরুদন্ড হিসেবে বিবেচিত হয় প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার পাশাপাশি এখন নগর পাতাজুড়েও প্রেস রিলিজ ছাপানোর হিড়িক পড়েছে। এর থেকেই আমাদের দেশের সরকারি-বেসরকারি ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জনসংযোগ শাখার ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমের ব্যাপারে একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। 

আজ ২২ জুলাই, জনসংযোগ পেশার একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক সংগঠন বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৯ সালের জুলাই মাসের এই দিনটিতে দেশে যাত্রা শুরু করেছিল এই সমিতি। ঢাকার তখনকার বনেদী রেস্তোরাঁ হোটেল পূর্বাণীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সংগঠনের প্রথম জাতীয় সম্মেলন। অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সে সময়ের সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। আর বিশেষ অতিথি ছিলেন তৎকালীন তথ্য ও বেতার মন্ত্রী জনাব হাবিবুল্লাহ খান। বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক জনসংযোগ সমিতির সভাপতি ভারতের জনাব সনত লাহিড়ী। বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক পরিচালক জনাব মোস্তফা ই জামিল এবং জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের হেড অব ব্রান্ডিং এন্ড কমিউনিকেশনের প্রধান জনাব মনিরুজ্জামান টিপু দায়িত্ব পালন করছেন। আজকের এই দিনে দেশের জনসংযোগ পেশার সমস্ত অগ্রজ ও সহযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানাই।

লেখক : মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, জনসংযোগ কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক আজাদী, চট্টগ্রাম।