image

শেখ হাসিনার ডেল্টা মহাপরিকল্পনা

image

১৯৮১ সালে স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বাকি জীবন বাবার স্বপ্নের পথ ধরে এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে তিনি রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যখন আমরা কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, দেশের দারিদ্র্যসীমা আমরা কমিয়ে এনেছি, দারিদ্র্যসীমা মাত্র ১০ বছরে ৪০ ভাগ থেকে আমরা ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি, আমাদের জিডিপি বেড়ে গিয়েছিল। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছিলাম। আমাদের আশা ছিল মুজিববর্ষ উদযাপন করব। কিন্তু এ সময় এক অদৃশ্য শক্তি, করোনাভাইরাস যা কেউ চোখে দেখতে পারে না, বুঝতেও পারে না-সারা বিশ্বটাকে স্থবির করে দিল, সারাবিশ্বে যেন কেমন একটা অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করল। একটা আতঙ্ক-ভয়-ভীতি, মৃত্যু আতঙ্ক যেন সারা বিশ্বকে পেয়ে বসেছে।’ ঘনবসতিপূর্ণ ১৬১ মিলিয়ন জনসংখ্যার বাংলাদেশে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করা অন্যান্য দেশের চেয়ে ভিন্নতর। করোনাজনিত বৈশি^ক মন্দায় বঙ্গকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হার মানতে নারাজ। তিনি এগিয়ে নিতে চাইলেন তার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলার চলমান আগ্রযাত্রাকে। আগামী একশত বছরকে সামনে রেখে প্রণয়ন করা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে উদ্যোগী হলেন।

নদীমাতৃক বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ। নদী জীবন, জীবিকা, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। বদ্বীপ অধিবাসীদের জীবন খুব সহজ নয়। বাংলাদেশের মোট আয়তনের এক-তৃতীয়াংশ বা তার কিছু কম নিচু এলাকা। বদ্বীপ অধিবাসীদের বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙ্গন, পানি দূষণের মতো হুমকি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ২০৫০ সালে বাংলাদেশের ১৪% শতাংশ এলাকা নদী বা সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত হবে বলে ভবিষ্যদ্বানী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিণামে ৫০ মিলিয়ন লোক জলবায়ু শরণার্থীতে পরিণত হওয়ার আশক্সক্ষা রয়েছে। বিশ^ব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙ্গন, পানি দূষণের মতো হুমকি মারাত্মক আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশের মতো নেদারল্যান্ডসও একটি বদ্বীপ রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মতো তারাও একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই বাংলাদশে ও নেদারল্যান্ডস সমন্বিতভাবে ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। ডেল্টা পরিকল্পনার লক্ষ্য একুশ শতকের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা। ডেল্টা পরিকল্পনা, কৌশলসমূহের টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে ডেল্টা ভিশনে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পের ফলাফল রচিত হবে ৫০ থেকে ১০০ বছরের একটি সমন্বিত এবং টেকসই পরিকল্পনার কাজের ওপর ভিত্তি করে। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য, আমাদের নিরাপদ জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করা এবং দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখা। এ বিষয়ে অবশ্য ২০১২ সালেই বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তার বাস্তব রূপায়ন। বাংলাদেশের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রযুক্তিগত, কারিগরি ও আর্থসামাজিক ঐতিহাসিক দলিল। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ও জিডিপি উভয়ই বেড়েছিল। যদিও বৈশি^ক করোনা কিছুটা সমস্যা তৈরি করছে। সরকার এটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কিছু প্রভাব রয়েছে। সেই প্রভাবকে মোকাবিলা করে দেশকে কিভাবে উন্নয়নের সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত বদ্বীপ পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্ল্যান।’ সরকারের ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয় পানি ব্যবস্থাপনা বা বদ্বীপ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে। সেগুলো হলো কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বিদ্যুত মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনা কমিশন বলছে, পানি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত দশটি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে ডেল্টা তহবিলের টাকায়, যেটি এখন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় বাস্তবায়িত হতে চলেছে।

ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২০৩০ সাল নাগাদ উন্নয়ন ব্যয় পরিচালনায় তহবিলের অনুমিত পরিমাণ হবে সাড়ে ৩৭ বিলিয়ন বা ৩৭৫০ কোটি ডলার। এই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে আগামী ১০ বছরে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এটি ২১০০ সাল পর্যন্ত ঐতিহাসিক বদ্বীপ পরিকল্পনার অংশ। সংশ্লিষ্ট ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময়ের এই তহবিল গঠনে কোন আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন নেই। প্রতি বছরের উন্নয়ন তহবিল থেকেই এই তহবিলের প্রয়োজনীয় অর্থ যোগান দেওয়া সম্ভব। ‘ডেল্টা তহবিল’ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত রেখে এ রকমের একটি তহবিল গঠনের পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অনুমোদন পায় ডেল্টা প্ল্যান ২১০০। এর পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও গঠিত হচ্ছিল না এর গভর্নেন্স কাউন্সিল। অতঃপর পরিবর্তিত বিশ^পরিস্থিতিতে ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাকে চেয়ারম্যান করে ডেল্টা গভর্নেন্স কাউন্সিল গঠন করা হয়। এ কাউন্সিল বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তহবিল গঠনের রূপরেখাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সেই অনুযায়ী আপাতত ২০৩০ সালের মধ্যে প্রস্তাবিত ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ছয়টি ‘হটস্পট’ ঠিক করে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে ৬৫টি প্রকল্প ভৌত অবকাঠামো সংক্রান্ত এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণা সংক্রান্ত। প্রাথমিকভাবে নেয়া কাজগুলোর মধ্যে পদ্মার ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ প্রায় সবগুলোই বড় প্রকল্প। বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে ছয় ধরনের জায়গাকে বাংলাদেশ বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, সেগুলো হলো- উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওড় এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল এবং নগর এলাকা। বরেন্দ্র ও খরা প্রবণ অঞ্চলের মূল সমস্যা হলো পানির প্রাপ্যতা। এসব এলাকায় এখন পানির স্তর ভূপৃষ্ঠের ৭০ থেকে ৮০ ফুট নিচে চলে গেছে। ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় সেসব এলাকায় বৃষ্টির পানি ধরে রেখে চাষাবাদসহ প্রয়োজনীয় কাজগুলো করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেমের বিভিন্ন প্রযুক্তি গবেষণার মাধ্যমে বিচার-বিশ্লেষণ করে আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তা প্রয়োগ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আবার হাওড় অঞ্চলে স্যানিটেশন, সুপেয় পানির দুষ্প্রাপ্যতা এবং পানি সরবরাহ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেখানে খরস্রোতা নদীতে ড্রেজিং করে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার উদ্যোগ নেবে সরকার। ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাস্তাবায়নের জন্য আরেকটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে। ওই প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় বাংলাদেশের উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার রূপরেখা থাকবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, জিডিপির আড়াই শতাংশ টাকা এ খাতে ব্যয় করা হবে। জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ সরকারি তহবিল থেকে এবং শতকরা ২০ ভাগ বেসরকারি খাত থেকে সংগৃহীত হবে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুমোদিত বদ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় সামনের দিনগুলোয় যেসব প্রকল্প ও কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হবে, সেসব প্রকল্প ও কর্মসূচীতে টাকার জোগান দিতে যাতে কোন সমস্যা না হয়, সে জন্য তহবিল গঠন করার কথা বলা হয়েছে। ‘ডেল্টা ফান্ড’ নিয়ে একটি রূপরেখাও তৈরি করেছে জিইডি, সেই রূপরেখার আদলেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় থাকা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে শেখ হাসিনার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত বাংলাদেশের পথে হাঁটতে হলে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ প্রয়োজন। এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন অপরিহার্য। তাছাড়া প্রকল্পটির মূল প্রতিপাদ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। নদী ভাঙনের ফলে প্রতিবছর ৫০ থেকে ৬০ হাজার পরিবার গৃহহীন হচ্ছে। বন্যায় অনেক ফসলহানি হচ্ছে। এর বাইরেও বিশেষ করে শহর অঞ্চলে সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, কঠিন বর্জ্য ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা, কৃষি জমিতে ব্যাপক রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মতো চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি উৎপাদক শক্তি না কমিয়ে কিভাবে এসব বিষয় যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা যেতে পারে বাংলাদেশের বদ্বীপ পরিকল্পনায় এসব বিষয়ের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের দেশের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের উপাদানগুলো বিবেচনা করে এগুলোর ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণে এ পরিকল্পনায় ছয়টি হটস্পট নির্ধারণ করে সেখানে ৩৩ ধরনের চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করা হয়। হটস্পটগুলো হচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল, নদী ও মোহনা অঞ্চল ও নগরাঞ্চল। এ অঞ্চলগুলোকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। জীববৈচিত্র্য, সুন্দরবন সংরক্ষণ, বাঁধ-ব্যারাজ সংস্কার ও নির্মাণ, বিভিন্ন নদীতে জেগে ওঠা চর, মোহনার গতিপথ নিয়ন্ত্রণ, জনস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ ভিশন ২০২১ ও ২০৪১-এর লক্ষ্য অর্জনে সামগ্রিকভাবে এর সঙ্গে যুক্ত প্রধান উপাদানগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব। উন্নত দেশগুলো সয়েল এ্যান্ড ওয়াটার কনজার্ভেশন সোসাইটি বিভিন্ন ধরনের মাটির ক্ষয় রোধের প্রযুক্তি বের করেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও মাটির ক্ষয় রোধে গবেষণার কাজ চলছে। এখান থেকে ধারণা নিয়ে কিভাবে আমরা নিজস্ব পদ্ধতিতে মৌলিক ও ফলিত গবেষণার মাধ্যমে নদীভাঙন রোধ করতে পারি, সে বিষয়টি নিয়ে আরও বেশি করে ভাবার সময় এসেছে।

বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নকে সামনে রেখে ছুটে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ সাল এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ১০০ বছরে কোন পর্যায়ে যাবে সেটা বস্তবায়নের কাজ চলছে। ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কী করব, তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি। দিনবদলের সনদ বাস্তবায়ন হতে চলছে। তা অব্যাহত থাকবে। ২১০০ সালে বাংলাদেশকে কিভাবে দেখতে চাই, বদ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য অভিঘাত থেকে বাঁচাতে এই প্ল্যান। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ছাড়া আসলে দেশের উন্নয়ন হবে না। সে লক্ষ্যে ২০২১ থেকে ৪১ সাল পর্যন্ত করণীয় অনেক দূর এগিয়েছে। ২০৪১ সাল থেকে ২১০০ সাল পর্যন্ত কী হবে সেই পরিকল্পনাও দিয়ে যাচ্ছি। এ নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। দেশ এগিয়ে যাবে।

লেখক : গবেষক