image

আনোয়ারায় জোয়ারের পানিতে উপকূলের ৩ গ্রাম প্লাবিত

image

আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি বেড়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।  বুধবার (৫ আগষ্ট)দুপুরে বেডিবাঁধের বারআউলিয়া এলাকার খোলা অংশ দিয়ে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে স্থানীয়দের বসত ভিটা ডুবে যায়। এ সময় এলাকার  ৫ হাজারেরও অধিক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে দূর্ভোগের শিকার হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ যথা সময়ে বেডিবাঁধের মাটির কাজ শেষ না করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেন ,বর্ষার পরেই চলমান উন্নয়ন মাটির কাজ ও নতুন বরাদ্ধে স্থায়ী ভাবে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, রায়পুর ইউনিয়নের বারআউলিয়া এলাকায় প্রায় দুইশ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে জোয়ারের পানি বাড়লেই স্থানীয়দের মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, বসত ঘর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে যায়। এ এলাকায় খোলা বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানি উঠানামা করছে। বুধবার দুপুরে জোয়ারের পানি বেড়ে গেলে বেডিবাঁধের খোলা অংশ পানি প্রবেশ করে ৮ নং ওয়ার্ড বার আউলিয়া এলাকার বাইন্না পাড়া,কবির মিয়ার বাড়ি,ইসমাইল মিয়াজির বাড়ি, সর্দার পাড়া,হাজি কেরামত আলী বাড়ি ও মাওলানা আমির হামজার বাড়িসহ গহিরা,বারআউলিয়া ও দক্ষিণ গহিরার প্রায় ৫ হাজার লোক পানি বন্ধি হয়ে পড়ে। 
স্থানীয় বাসিন্দা ইমতিয়াছ আরাফাত জানায়, জোয়ারের পানিতে ভাসছে পুরো গ্রাম। আমাদের বাড়ি ঘর ডুবে যায়, বাড়ির কারো পক্ষে রান্নাবান্না করা সম্ভব হয়নি।
রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম জানান, বারআউলিয়া এলাকার বেডিবাঁধের খোলা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মানুষের ঘরবাড়ি, মসজিদ মাদ্রাসা, কবরস্থান ও দোকানপাট তলিয়ে যায়। এতে করে এলাকার অন্তত ৫ হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে দূর্ভোগে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষকে জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া প্রয়োজন।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী চয়ন কুমার ত্রিপুরা জানান, বর্ষার পরেই চলমান উন্নয়ন মাটির কাজ ও নতুন বরাদ্ধে স্থায়ী ভাবে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আনোয়ারার উপকূলের বেডিবাঁধের যে সব অংশে পাথর বসানো হয়নি ঐ সব এলাকায় বর্ষার পরেই পাথর বসানো হবে। এর জন্য নতুন করে ৭টি প্যাকেজে ১শত ৫০ কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।