image

মারা গেলেন লাইফ সার্পোটে থাকা মহেশখালীর সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউছুপ

image

সংকটাপন্ন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লাইফ সার্পোটে থাকা
চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের আওতাধীন কক্সবাজারের মহেশখালী রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দীন মারা গেছেন। 
বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট) ভোর ৫ টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এ খবর নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিশেষ টহল দলের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হক।
এর আগে গত ৩০ জুলাই মহেশখালীর কেরুনতলি করইবুনিয়ায় সংরক্ষিত বনভুমিতে গড়ে তোলা অবৈধ পানের বরজ উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে দখলবাজদের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি সহ বনবিটের অারো কয়েকজন সদস্য।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় বনবিভাগের মহেশখালী রেঞ্জের কেরুনতলী বিটের করইবুনিয়া এলাকায় বন বিভাগের সংরক্ষিত এলাকার বনভুমিতে স্থানীয় ভুমিদস্যু চক্র অবৈধভাবে পানের বরজ তৈরি করেন।
৩০ জুলাই ওইসব অবৈধ পানের বরজ উচ্ছেদ করতে যান সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দীন (৩০), কেরুনতলী বিট কর্মকর্তা আহসানুল কবির (৪৫) এবং বন বিভাগের নৌকা চালক জিয়া রহমান সহ আরো কয়েকজন বন কর্মকর্মী। উচ্ছেদ অভিযানের আগেই খবরটি পান দখলবাজ চক্র। 
ভূমিদখলকারীরা চক্র পরিকল্পিত ভাবে অস্ত্র সহকারে সজ্জিত হয়ে অপেক্ষামান থাকে।
উচ্ছেদ অভিযান চালানোর উদ্দেশ্যে বনকর্মীরা উক্ত স্থানে পৌছলেই সংঘবদ্ধ সরকারী ভূমি দখলবাজ চক্র অতর্কিতভাবে বনকর্মীদের উপর হামলা চালায়। দখলবাজদের এলোপাতাড়ি হামলায় আহত সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিন, বিট কর্মকর্তা আহসানুল কবির এবং বন বিভাগের নৌকা চালক জিয়া। আহতদের মধ্যে সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউছুপ উদ্দিনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেথানে ইউছুপের মাথায় অস্ত্রোপচারের পর তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। গত ৫ দিন যাবত তিনি লাইফ সার্পোটে থাকার পর ৬ আগষ্ট ভোর ৫টার দিকে তিনি মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন।
বন কর্মীদের উপর দখলবাজদের হামলার ঘটনায় কেরুনতলি বিটের বনবিট কর্মকর্তা আহত আহসানুল কবির বাদী হয়েসংরক্ষিত বনাঞ্চলে অনধিকার প্রবেশ করে সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্যপালনে বাধা, বেআইনি জনতা গঠন করে সরকারী কর্মচারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করার অপরাধে ১ আগষ্ট রাতে মহেশখালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত নামা ২৫ জনকে আসামী করা হয়। মহেশখালী থানার মামলা নং-১, জিআর-১৭৪, তাং-১/৮/২০২০ 
আসামীরা হলেন, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের লম্বাইয়াকাটা গ্রামের কলিম উল্লাহ প্রকাশ কালাইয়্যার ছেলে মো.আনোয়ার হোসেন, আক্কেল আলীর ছেলে কলিম উল্লাহ প্রকাশ কালাইয়্যা,তার ছেলে আক্তার হোসেন, মো. হোসেন প্রকাশ ধলাইয়া, মৃত বসো আলী সিকদারের ছেলে মো. নাছির।
মহেশখালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এঘটনার প্রধান পুলিশ কলিম উল্লাহ ওরফে কালাইয়া (৪৮) নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। অন্যান্য আসামীরা পলাতক রয়েছে।