image

কোভিড-১৯ এর প্রভাব : কক্সবাজারে বাড়ছে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা 

image

উর্পাজনের ক্ষেত্রে ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতির কারণে কোভিড-১৯ এর প্রভাবে কক্সবাজার সদর (কক্সবাজার শহর)-এর প্রায় র্অধেক জনগণ খাদ্য বিষয়ক ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর সময়ে জীবিকা ও উর্পাজনে ব্যাপক মন্দার কারণে এইসব মানুষকে খাদ্য জোগাড় করতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য র্কমসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর একটি মূল্যায়নে উঠে এসেছে এসব তথ্য। 
কক্সবাজার আরবান ভালনারেবিলিটি এসেসমেন্ট-এ দেখা গেছে, জরিপকৃত জনগণের ৪০ শতাংশেরই র্মাচ মাস থেকে কোনো আয়-উর্পাজন নেই এবং ৪৮ শতাংশ মানুষকে র্পযাপ্ত খাবার কিনতে বেশ কষ্ট পেতে হয়েছে। ফলে, এসব মানুষ বাংলাদেশ সরকার ও দাতা গোষ্ঠীর মতো বাহ্যিক সহায়তার ওপর ব্যাপকমাত্রায় র্নিভর করে আসছে।

ডব্লিউএফপি কক্সবাজার-এর সিনিয়র ইর্মাজেন্সি কোর্অডিনেটর শিলা গ্রুডেম বলেন, “কোভিড-১৯ কেবলমাত্র একটি স্বাস্থ্যগত সংকটই নয়, এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের জন্য এটি একটি র্আথ-সামাজিক সংকট। বাংলাদেশের কক্সবাজার শহরে বসবাসকারী জনগণ এবং জীবন-জীবিকার জন্য র্পযটন ও মজুরি খাতের ওপর র্নিভরশীল মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” দিনমজুরীর সাথে সম্পৃক্ত মানুষের আয় কমেছে ৭০ শতাংশেরও বেশি। আর যেসব মানুষ স্বর্নিভর, তাদের আয় কমেছে ৪৪ শতাংশ। লকডাউনের সময় ব্যবসায়ীদের আয় তাদের স্বাভাবিক আয়ের তুলনায় দুই-তৃতীয়াংশ কমেছে। গত এপ্রিল মাসে, কক্সবাজারে ঝুঁকির মুখে থাকা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার সম্পূরক সহায়তা হিসেবে খাদ্য ও র্অথ-সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে ডব্লিউএফপি কক্সবাজারে একটি র্কমসূচি শুরু করেছিল।

শিলা গ্রুডেম বলেন, “কোভিড-১৯ এর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা র্কাযক্রমের অংশ হিসেবে, ডব্লিউএফপি-এর লাইভলিহুডস্, স্কুল ফিডিং ও র্দুযোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক র্কমসূচির মাধ্যমে আমরা স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান করেছি। এখন আমরা কক্সবাজার সদরের ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষসহ কক্সবাজার জেলার ৫ লাখ মানুষকে আমাদের এই সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসছি।
তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য র্কমসূচি বিশ্বের র্সববৃহ মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা। যা জরুরি অবস্থায় জীবন বাঁচায়, সমৃদ্ধি তৈরি করে, এবং সংঘাত, র্দুযোগ ও জলবায়ু পরির্বতনের প্রভাব থেকে উদ্ধারকৃত জনগণের জন্য একটি টেকসই 
ভবিষ্য তৈরিতে সহায়তা করে আসছে।