image

বদলি আদেশকে গুগলি বানিয়ে গিলে খাচ্ছেন পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিমল

image

চট্টগ্রামের পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হলেও এখনো বহাল তবিয়তে পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বদলি হওয়া ওই ক্ষমতাধর পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) হলেন শ্রী বিমল চন্দ্র ভৌমিক।

সূত্র জানায় গত ৩রা সেপ্টেম্বর হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার এক প্রজ্ঞাপনে ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মােঃ আব্দুল মালেক কে ঢাকা সিআইডি ও পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রী বিমল চন্দ্র ভৌমিক কে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।

হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টাস, ঢাকা স্মারক নং- ৪৪.০১.০০০০.০১২.১৯.০৮৫.১৯.৮১৬ বেতার বার্তা নং-৫৮৩ মূলে স্বাক্ষরিত উক্ত আদেশটা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়ন হতে প্রেরণ করে পুলিশ সুপার। এতে উল্লেখ করা হয়, “ উল্লেখিত পুলিশ পরিদর্শকদ্বয় বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশ্যে আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছাড়পত্র গ্রহণ করবেন। অন্যথায় ০৯-৯-২০১০ তারিখ হতে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হয়েছেন বলে গণ্য হবে।

অভিযোগ রয়েছে, এ নির্দেশনার পরও হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ চট্টগ্রাম রেঞ্জে যোগদান করেনি। বরং এখনো ফাঁড়িতে ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ভিন্ন উপায়ে ইনচার্জ শ্রী বিমল চন্দ্র ভৌমিক তার বদলি ঠেকিয়ে দিতে তদবির চালাচ্ছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে নীরবতা পালন করছে।

অপরদিকে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিমল চন্দ্র ভৌমিকের লাগামহীন চাঁদাবাজি ও হয়রানির কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পুরো পরিবহন ব্যবস্থায় নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন গাড়ি আটকে লক্ষাধিক টাকার ওপেন চাঁদা আদায় করায় এক প্রকার ধরাশায়ী পরিবহন মালিক শ্রমিকসহ এ খাতের সাথের যুক্ত সকলেই। সরকারি ফি হিসেবে টাকা আদায় করা হলেও কোষাগারে টাকা জমা হয় না বলেও অনেকে জানিয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, হাইওয়ে পুলিশ ব্যাটারী চালিত ছোটখাট রিক্সা নিয়ে জরুরী প্রয়োজনে বের হলেও হাইওয়ে পুলিশ রাস্তায় রিক্সা চালককে আটকে মারধর, নির্যাতন চালায়। রিক্সা আটকে রেখে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা নগদ নিয়ে গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়। একইভাবে সিএনজি টেক্সিগুলো রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে ছাড়া হয়।

হাইওয়ে পুলিশের গণহারে চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিষয়টি জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপিকেও পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে পরিবহণ সংগঠনের নেতারা জানান।

জানা গেছে, পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিমল চন্দ্র ভৌমিক যোগদান করার পর থেকে পরিবহন সেক্টরে গণহারে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অথচ এর আগে ক্রসিং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.বি এম মিজানুর রহমান দায়িত্বে থাকাকালিন সময় প্রসংশা কুড়িয়েছিলেন। 

ফাঁড়ি ইনচার্জ বিমল চন্দ্র ভৌমিকের নাম্বারে একাধিকবার রিং করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বদলির পরও বহাল কেন জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়ন পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম বলেন, বদলির আদেশ হয়েছিলো সেটা সত্য। তবে তিনি এখনো বহাল রয়েছেল কারণ তিনি রিটারমেন্টে যাবেন কিছুদিনের মধ্যে। এ জন্য পূনরায় থাকার জন্য আবেদন করেছেন।'