image

বাংলাদেশে নারী সহিংসতায় জাতি সংঘের উদ্বেগ

image

বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনা এবং নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এগুলো গুরুতর অপরাধ এবং মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

বুধবার (৭ অক্টোবর) জাতিসংঘ বাংলাদেশ-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে জানায়, ‘নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশিত (ভাইরাল) হয়, যা সামাজিক, আচরণগত এবং কাঠামোগতভাবে বিদ্যমান নারী বিদ্বেষকে ফুটিয়ে তুলেছে।’

‘জাতিসংঘ ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ জনগণ এবং সুশীল সমাজের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তবে আমরা মনে করি, নোয়াখালীর ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে এটি কোনও নিছক বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি পদ্ধতিগত সংস্কারের সুনির্দিষ্ট আহ্বান।’

জাতিসংঘের ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, ‘নারী অধিকার সুরক্ষা ও শক্তিশালীকরণে, পদ্ধতিগত সংস্কারের পক্ষে আমরা আমাদের শক্ত অবস্থান তুলে ধরছি—জেন্ডার সংবেদনশীল বিচার ব্যবস্থা প্রণয়ন ও উন্নয়ন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা পরিচালনার পদ্ধতিতে ব্যাপক পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ সর্বদা প্রস্তুত।’

‘জাতিসংঘ ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের সমর্থন ও সুরক্ষা প্রদান এবং বিচারের ক্ষেত্রে দ্রুততা আনতে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জরুরি সংস্কারের পক্ষে। এছাড়া, নারী ও মেয়েদের সুরক্ষার জন্য অসংখ্য আইন ও কর্ম পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, সে সম্পর্কে জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি সুনিশ্চিত করার কোনও বিকল্প নেই।’

‘জাতিসংঘ তার সব অংশীদারের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জেন্ডার বৈষম্য ও পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক নীতিগুলোকে চিহ্নিত করে নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে কাজ করছে। আমরা এমন একটি সমাজ গঠনে কাজ করছি, যেখানে নারী ও মেয়েরা নিরাপদ বোধ করবে এবং তারা ক্রমে উন্নয়নের দিকে যাবে।’

জাতিসংঘ জানায়, ‘এ ব্যাপারে বৈশ্বিক পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক। কারণ, আমরা দেখতে পাই যে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সব অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত, কিন্তু অপরাধী সবচেয়ে কম সাজাপ্রাপ্ত । এর বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে।’

সুত্র : শীর্ষ নিউজ