image

টানা বর্ষণে আমন ধান ও রবি ফসলের চাষীদের মাথায় হাত

image

নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও মৃদু মৃদু হাওয়ায় লামায় আমন ধান ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।অনেক জাগায় জলাবদ্ধতার কারণে রোপণকৃত বীজ ও ফসলে পচন ধরেছে। পানি 

নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও মৃদু মৃদু হাওয়ায় লামায় আমন ধান ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষদ্রæত না সরলে কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন।

এই দুর্যোগে কৃষকদের অপূরণীয় ক্ষতিতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে এমন দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। 

রবিবার (২৫ অক্টোবর)  সকালে সরেজমিন লামা পৌর এলাকার কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আমন খেতে বৃষ্টির পানি জমে আছে। আধাপাকা-কাঁচা অনেক ধান নুয়ে পড়েছে। অন্যদিগে অনেক কৃষক তাদের ফসল বাঁচাতে খেত থেকে আগাম ধানও কাটা শুরু করেছেন। 

লামা পৌরসভা চাম্পাতলী গ্রামের কৃষক আব্দু ছালাম পুতু জানান, তিন দিনের বৃষ্টি ও হালকা হালকা বাতাসে আমার প্রায় ৫ কানি আমন ধানের মধ্যে প্রায় ৩ কানি ধানগাছ মাটিতে নুয়ে ও ডুবে গেছে। সাধারণত এক বছরের ধান মজুত রেখে বাকিটা বিক্রি করেন। কিন্তু এ বছর বিক্রি তো দূরে থাক, খোরাকের জন্য ধান রাখতে পারবেন কি না, তা জানেন না।

কৃষক মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, এই অসময়ের বৃষ্টিতে ‘আমার কোমর ভাইঙ্গা দিয়া গ্যাছে।  আমার ৫/৭ কানি মুলা, ৩ কানি বেগুন, ৩ কানি বাঁধা ও ফুলকপি এবং বিচতলাসহ তিনদিনের ভারি বৃষ্টিতে পানি জমে পঁচে যাচ্ছে। এতে আমার ৭/৮ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে। এই ক্ষতি আমি কি ভাবে পৌষাব জানি না।  

প্রান্তিক কৃষকরা জানান,ধান গাছগুলো হেলে পড়েছে পানির উপরে। হেলে পড়া এসব ফসল ঘরে তোলা সম্ভব নয়।

লামা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে জানান, আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১.৮২ হেক্টর। ক্ষয়ক্ষতি পরিমান ৩ হেক্টর, রবি ফসলের লক্ষ্যমাত্রা ৬.২ হেক্টর, ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ হেক্টর তবে কৃষকেরা বলছেন, ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জানতে চাইলে আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কোনো ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা তাঁরা এখনো পাননি।