image

অস্ত্র ও ইয়াবাসহ রাজধানীর আদাবর থানা আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার 

image

রাজধানীর আদাবর থেকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ মনিরুজ্জামান ওরফে মনির নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তা করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার হওয়া মনির আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বলে র‍্যাব জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১/২ পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির বাসায় অভিযানের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে দখল, অস্ত্রবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রায় ৭০টি মামলা রয়েছে।

মনির সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক ও বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ঢাকা উদ্দ্যান, নবীনগর হাউজিং, চন্দ্রিমা উদ্দ্যানসহ আশপাশে দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

র‌্যাব-২ ও  বিভিন্ন সূত্রে  জানা গেছে, ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হলে লাগেজ ভর্তি ডলার নিয়ে স্বপরিবারে রাতারাতি আমেরিকায় পালিয়ে যান মনির। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গত কোরবানির ঈদে দেশে ফিরেই তিনি ঢাকা উদ্দ্যান, নবীনগর হাউজিং ও চন্দ্রিমা উদ্দ্যানে দখল বাণিজ্য শুরু করেন। গত তিন মাসে জাল কাগজপত্র বানিয়ে শুধু ঢাকা উদ্দ্যানেরই চারটি প্লট দখল করেছেন মনির।

মনিরের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র মোহাম্মদপুর থানা ও আদালতে চাঁদাবাজি, জবরদখল, মাদক, অস্ত্র, নারী নিরযাতন, চুরিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের অভিযোগে অর্ধশতাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে।

মনির  বাংলাদেশ বিমানের জুনিয়ার পার্সার কাজী আশরাফ আল কাদের ও তার স্ত্রী ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার প্লট দখল করে নেন।

আরেক ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মোস্তফা নাজিম, ঢাকা উদ্যানের সি-ব্লকে ১ নম্বর সড়কের একটি প্লটে চলতি বছরে বাড়ি নির্মাণ শুরু করলে মনির তার কাছে চাঁদা দাবি করে।

মনিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ও লুটপাটের শিকার হন মোহাম্মদপুরের বছিলা রোডের আজহার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বরকত উল্লাহ।

প্রায় দেড় দশক আগে মোহাম্মদপুর এলাকার বিএনপি ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু সাঈদ ব্যাপারীর হাত ধরে দখল বাণিজ্যে মনিরের হাতেখড়ি। স্থানীয় কয়েক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাকে হাত করে চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য চালাতেন তিনি।

র‌্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইয়াবা কারবারে জড়িত মনির। এক সময়ে মোহাম্মদপুর থানায় কর্মরত পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর আতিক তার হয়ে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান ঢাকায় নিয়ে আসতেন। মাস দুয়েক আগে আতিক চালানসহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। আতিকের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে আরেক সদস্য মনিরের ঘনিষ্ট সহযোগী হুমায়ুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও গডফাদার মনিরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করলো র‌্যাব।