image

মিরসরাইয়ে ছাত্রদল নেতাকে মারধর, জিম্মি করে টাকা আদায়

image

মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌরসভা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হওয়ায় ছাত্রলীগ নামধারীদের রোষানলে পড়লেন এমরান হোসেন। কমিটি ঘোষণার পর তাকে অপহরণের পর মারধর করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে বলে শুক্রবার বিকালে জেলা ছাত্রদলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থনীয় ছাত্রলীগ নেতারা।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আফছার জুয়েল অভিযোগ করেন, ‘গত বুধবার (২ ডিসেম্বর) জেলা ছাত্রদলের তরফ থেকে বারইয়াহাট পৌরসভা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে এমরান হোসেনকে আহবায়ক করা হলে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ কর্মী তাকে অপহরণ করে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে।

পরে তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেয়।’

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি বারইয়ারহাট পৌরসভা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর বারইয়াহাট পৌরসভার সামনে থেকে নব ঘোষিত কমিটির আহবায়ক এমরান হোসেনকে মারতে মারতে স্থানীয় একটি ক্লাবে নিয়ে যায় স্থানীয় আকাশ নামের এক যুবকসহ বেশ কয়েকজন যুবক। এসময় তারা এমরানকে মারধর করে ওইদিন বিকালে ছেড়ে দেয়। 

মিরসরাই উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সরোয়ার হোসেন রুবেল জানান, আকাশ ও তার কয়েকজন সঙ্গী ছাত্রদল আহবায়ককে ধরে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে। এসময় তাকে মারধর করে ৩০ হাজার টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দেয়ার আগে আর কোনদিন ছাত্রদল করবে না, থানায় অভিযোগ দেবে না মর্মে এমরানের কাছ থেকে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এমরান চট্টগ্রামে চলে যায়।

এদিকে মারধরের ঘটনায় আহত বারইয়ারহাট পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক এমরান হোসেন মোবাইল ফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তার শারিরিক অবস্থা ভালো না বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

ছাত্রদলের বারইয়াহাট পৌরসভা আহবায়ক এমরানকে মারধর ও টাকা আদায়ের ঘটনা শুনেছেন জানিয়ে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি ফারুকুল ইসলাম ফারুক বলেন, ‘ছাত্রদলের তরফ থেকে এ ধরণের একটি ঘটনা আমি শুনেছি। ঘটনার সাথে যারা জড়িত বলে বলা হয়েছে তারা কেউই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত নয়। এটি স্থানীয় বিএনপির দলীয় কোন্দলের ঘটনা।’

এদিকে এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আমিন। তিনি বলেন, ‘এটি ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে। এভাবে মারধর করে বিএনপি ও ছাত্রদলকে দমিয়ে রাখা যাবে না।’