image

একাদশেও বিএনপি না থাকার সম্ভাবনা বেশী : ২৭ ডিসেম্বরেই নির্বাচন

image

দেশে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগসহ মহাজোটে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন। সরকার ও নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখ বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন হতে পারে। এর পূর্বে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সরকারের মন্ত্রীসভার পরিধি ১৫ হতে ২০ এ কমিয়ে আনা হতে পারে। যদিও সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের সময় সরকারের মন্ত্রী সভার আকার কেমন হবে, এর কোন বিবরণ নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছামত মন্ত্রী সভায় যতজন খুশি নিয়ে গঠন করতে পারেন। তবে নির্বাচনী আচরণবিধির প্রশ্নে হয়তো যেসব মন্ত্রী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন ওরা মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করতে পারেন। আগামী ২৯ অক্টোবর মতিঝিলে ১৪ দলের সমাবেশের পরই নির্বাচনকালীন মিনি মন্ত্রী সভাগঠিত হতে পারে। এর পরই নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই  নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া এমাসের শেষ ভাগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন আয়োজনের তারিখসহ সার্বিক পরিস্থিতি প্রেসিডেন্টকে অবহিত করবেন। এরই মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি এবার নির্বাচনের বাইরেই থাকার সম্ভাবনা বেশী। কারণ তাদের দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনের পূর্বে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় এই অজুহাতে বিএনপি নির্বাচন প্রতিরোধের নামে নির্বাচনের বাইরেই থাকবে এমনটা ধারণা দিয়েছেন সরকারপন্থী একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ওই বিশ্লেষক মনে করেন, শেষ পর্যন্ত সরকার বিএনপিকে ছাড়া ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে নিয়ে আসবে। নবগঠিত জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টে আরো কিছু নতুন নতুন দল যুক্ত করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পরপরই তাদের ফ্রন্ট থেকে নির্বাচনে ফিরিয়ে এনে ফ্রন্টকে দুর্বল করে দিবে। এরই মধ্যে বি,চৌধুরীর বিকল্প ধারাকে ফ্রন্ট থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে। মাহি বি চৌধুরী ও মেজর(অবঃ)মান্নান এ দুটি আসনে সরকার তাদের ছাড় দিতে পারে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ফ্রন্টের ড.কামাল ও মাহামুদুর রহমান মান্না ছাড়া বাকিদের ফ্রন্ট থেকে বের করে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া এর মধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া এরশাদের নেতৃত্বে একটি নতুন জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বাম ফ্রন্ট, ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে একাধিক ফ্রন্ট নির্বাচনের পক্ষে মাঠে থাকবে বলে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে সরকার দেখাতে  চাইবে বিএনপি ছাড়া দেশের সব দলই নির্বাচনে আসছে। অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের লক্ষ্য আগামীতে সিট ভাগাভাগির মাধ্যমে  দেশে জাতীয় ঐক্য মতের সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হবে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কারো কারো মত দেশে আর যেন কোন দল একক সংখ্য গরিষ্ঠতা অর্জন করে সংবিধান সংশোধনের সুযোগ না পায়। তাই সরকারের এই ফর্মুলাটি নিয়েই বি. চৌধুরী ১৫০ সীটের ভারসাম্যের ধোয়া তুলে চলেছেন। মুলতঃ এটি সরকারেরই  এজেন্ডা। সরকার বিএনপি ছাড়া সব দলের অংশগ্রহনে একটি নির্বাচন আয়োজনের ছক নিয়ে ধীরে এগোচ্ছেন। সরকারের নীতি নির্ধারকেরা মনে করছেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গে ছক অনুযায়ী সবগুলো দল জোট  নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।এভাবেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠ তৈরী করা হচ্ছে।