image

বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের সার্ভিস কোয়ার্টার এলাকাজুড়ে বিষমুক্ত তরমুজের সমাহার

image

আনোয়ারা বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের নৌবাহিনীর প্রস্তাবিত সার্ভিস কোয়ার্টার এরিয়ার জন্য বরাটকৃত বালু চরে প্রায় চার একর এলাকাজুড়ে বিষমুক্ত আগাম তরমুজ চাষ করেছেন স্থানীয় আয়ূব আলী, হেসকেল খাঁন, নুর মোহাম্মদ ও আবদুল কাইয়ূম নামে ৪ চাষী। প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে শখের বসে তরমুজ ছাড়াও লাগানো হয়েছে লাউ, কলাসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজিও। ফলন আর দামে হাসি ফুটিয়েছে ৪ বন্ধুর মুখে।

জানা যায়, উপজেলার বারশত ইউনিয়নের পারকি এলাকার বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের নৌবাহিনীর প্রস্তাবিত কোয়ার্টার সার্ভিস এরিয়া এলাকার বালু ভরাটকৃত বিশাল এলাকা জুড়ে চলছে সরকারের উন্নয়ন কর্মজ্ঞ। অন্যদিকে ৪ একর জমি জুড়ে তরমুজ চাষে ভরে গেছে। ইতিমধ্যে ক্ষেতে তরমুজ সাত থেকে আট কেজি, আবার কোনো তরমুজ দুই থেকে তিন কেজি হয়েছে এবং ক্ষেত থেকে তরমুজ বিক্রয় করাও শুরু করেছে চাষিরা। নৌবাহিনীর প্রস্তাবিত কোয়ার্টার সার্ভিস এরিয়া এলাকার ৪ একর জমিতে অনুমতি নিয়েই কিছুদিনের জন্য শীতকালীন তরমুজসহ বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ করেছেন বলে জানিয়েছে নুর মোহাম্মদ নামে এ চাষি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, আনোয়ারার বারশতের পারকি বালির চর, রায়পুরে শঙ্খের মোহনা, হাইলধরের ফকিরার চর ও উত্তর চাতরী এলাকায় শীতের শুরুতেই ৪৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন চাষিরা। এসব তরমুজ বিষমুক্ত হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। মাটি ও আবহাওয়ার কারণে ফলনও ভাল হয়। এতে করে খুশি চাষিরাও।

চাষি আয়ূব আলী জানান, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের ৪ একর ভরাটকৃত বালু চরে শখের বসে তরমুজসহ নানান শীতকালীন সবজির চাষাবাদ করেছি। বেশ ভালো ফলন হয়েছে, আশা করছি লাভবান হবো। তারমধ্যে নতুন বালু চরে তরমুজ  বেশি হয়েছে। আমরা এখানে কীটনাশক ব্যবহার না করায় এই ফসল বিষমুক্ত।

আনোয়ারা উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানুজ্জামান জানান, উপজেলায় বিভিন্ন জাতের প্রায় ৪৭ হেক্টর জমিতে বিষমুক্ত নিরাপদ তরমুজ চাষ করেছেন চাষিরা। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি তরমুজ চাষে অনুকূলে হওয়ায প্রতি শতকে জমিতে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চাষীদের লাভ হতে পারে। উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ কর্মিরা চাষিদের মাঠে গিয়ে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছেন।