image

চন্দনাইশের যতরকূলে স্থাপিত হলো এক হাজার মিটার ভূগর্ভস্থ সেচনালা (বারিড পাইপ)

image

বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থা অনেকটাই সেচ নির্ভরশীল। শুধুই ধানের আবাদ নয়; সব ফল-ফসলেই ক্ষেত্রমতে পানি সেচের প্রয়োজন হয়। সেচ কাজে পানির অপচয় রোধ, ফসলি জমির সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করণ, দ্রুত সময়ে জমিতে পানি সরববরাহ ও অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) দোহাজারী জোনের তদারকিতে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের যতরকুলে ভূগর্ভস্থ সেচনালা (বারিড পাইপ) স্থাপণ করা হয়েছে। প্রায় বিশ লাখ টাকা ব্যায়ে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পটিতে বিদ্যুতের মিটার ও পানির পাম্প স্থাপন শেষে শীঘ্রই উদ্ভোধন করা হবে বলে জানা গেছে। এটি চালু হলে প্রকল্প এলাকায় যে সকল কৃষকের জমি আছে তারা এর সুফল পাবে, যার ফলে উৎপাদন খরচ কমে যাবে। 

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, প্রকল্প এলাকায় এয়ার পাইপসহ ১০টি পানি বিতরণ কেন্দ্র (গেইটবাল্ব) স্থাপনসহ মোট এক হাজার মিটার পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চালিত ৫ কিউসেক ইলেকট্রিক মটর দিয়ে মাটির এক মিটার নিচ দিয়ে সঞ্চালনকৃত ভূগর্ভস্থ ১৬ ইঞ্চি পাইপ দ্বারা সাতবাড়িয়া এলাকার যতরবিল ও চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ হারালা বিলের ২০ হেক্টর জমির বিভিন্ন স্থানে আধুনিক প্রযুক্তিতে অতি দ্রুত উৎস থেকে শেষ পর্যন্ত পানি পৌঁছানোর ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।  উপজেলা সেচ কমিটির মাধ্যমে ১১সদস্য বিশিষ্ট একটি সমিতি করে এই সেচ প্রকল্পটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) দোহাজারী জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজমানুর রহমান জানান, কৃষি সেক্টরকে উন্নত এবং কৃষকদের ব্যয় ও পানি খরচ কমিয়ে আনার পাশাপাশি সেচের পানির অপচয় রোধে ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।

কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাতবাড়িয়া যতরমূখ এলাকায় ভূগর্ভস্থ সেচনালা (বারিড পাইপ) নির্মাণ কার্যক্রম চলছে। শুধু ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর না করে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানো দরকার। সরকার ইতোমধ্যে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। আইলের মাধ্যমে সেচের পানি সরবরাহ করলে মাটি অনেকটা পানি শুষে নেয়। এ জন্য পানি অপচয় রোধে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন হচ্ছে।