image

ফুটবলার তৈরীর পাঠশালা গ্রামীণ জনপদ, এখানে নজর দিতে হবে : আসকর খান বাবু

image

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক উপ-শহরখ্যাত দোহাজারী পৌরসভার স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন 'দোহাজারী আবাহনী ক্রীড়াচক্র'র বিস্ময়কর প্রতিভা সাবেক জাতীয় ফুটবলার আসকর খান বাবু। শৈশব থেকেই স্বপ্ন দেখতেন জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে ফুটবল মাঠে বিচরণ করবেন। সে লক্ষে নিয়মিত অনুশীলন করতেন। ১৯৮৯ সালে ৯ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় দোহাজারী আবাহনী ক্রীড়াচক্র'র খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবলে হাতেখড়ি। তিনি যখন ফুটবল খেলা শুরু করেন তখন সারা দেশে ফুটবলের জোয়ার ছিলো। গ্যালারীতে ফুটবলপ্রেমী দর্শকদের উপচেপড়া ভীড় ছিলো।

স্টেডিয়ামে আবাহনী ও মোহামেডান সমর্থকদের জন্য আলাদা গ্যালারী ছিলো। আবাহনী-মোহামেডান মুখোমুখি লড়াই হলে দর্শকদের উম্মাদনার পারদ থাকতো তুঙ্গে। আসকর খান বাবু ৯ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ক্ষ্যাপ খেলতে যেতেন নিজ উপজেলা চন্দনাইশ সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে। ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড'র খেলোয়াড় হিসেবে পেশাদার ফুটবলে পদার্পণ করে খেলোয়াড়ি জীবনে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন রাজধানী ঢাকায়। আবাহনী, মোহামেডান, ফকিরাপুল ইয়ংম্যান্স, ফরাশগঞ্জ ও বাড্ডা জাগরণী ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারের সোনালী সময় অতিবাহিত করেছেন। ১৯৯৬ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ যুবদলে নজরকাড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করে পরবর্তীতে জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পান তিনি। জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে মালেয়শিয়া ও মালদ্বীপের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। বর্তমানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এ ফুটবলার। মাঝে মাঝে দোহাজারী আবাহনী ক্রীড়াচক্র'র ফুটবল একাডেমীর ক্ষুদে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণও দেন তিনি। 

দোহাজারী পৌর সদর ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত তাজর মুল্লুক খান ও নুরনাহার বেগম দম্পতির ৫ ছেলে ৫ মেয়ের মধ্যে ৫ম সন্তান আসকর খান বাবু। 

৫ ভাইয়ের মধ্যে সবাই ফুটবলার। বড় ভাই বশির উদ্দীন খান মুরাদ দোহাজারী আবাহনী ক্রীড়াচক্র সভাপতি। আকবর খান সোহেল এখন ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। তাঁর ছোট ভাই শওকত খান সাকু খেলেছেন ঢাকা আবাহনী, ফরাশগঞ্জ ও শেখ রাসেল ক্লাবে। অপর ছোট ভাই মুশফিকার উদ্দীন শিমুল বিজেএমসি, রহমতগঞ্জ ও ফেনী সকার টিমে খেলেছেন। মুক্তিযোদ্ধা দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেও ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছেন। চিকিৎসার জন্য নিয়মিত ভারত যাতায়াতের কারনে মাঠে নামতে পারছেন না চলতি মৌসুমে।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত আসকর খান বাবু ভালোবেসে বিয়ে করেছেন ১৯৯৯ সালে। একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ মেম্বারের মেয়ে জাহানুর আক্তার রুশনীর সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। দোহাজারী জামিজুরী আঃ রহমান উচ্চ  বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া তাঁর বড় ছেলে জায়েদ খান রোহান আবাহনী ফুটবল একাডেমীর খেলোয়াড় হিসেবে খেলছেন আর ছোট ছেলে জুনায়েদ খান আলিফের বয়স ৮  বছর। পড়ালেখা করছে দোহাজারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীতে।

বর্তমানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করা আসকর খান বাবু শিক্ষা জীবন শুরু করেন দোহাজারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত দোহাজারী জামিজুরী আঃ রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। ১৯৯০ সালে এস.এস.সি পাশ করে রাঙ্গুনিয়া কলেজের বানিজ্য বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। খেলাধুলার কারনে অনিয়মিত হওয়ায় ডিগ্রী পরীক্ষা দিতে পারেননি।

আসকর খান বাবু খেলোয়াড়ি জীবনে মিডফিল্ডার পজিশনে খেলতেন, দলের প্রয়োজনে মাঝে মাঝে ষ্ট্রাইকারের ভূমিকায়ও খেলতেন। জাতীয় ফুটবল দল, চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলা আসকর খান বাবুর সাথে ফুটবল নিয়ে আলাপকালে তিনি তুলে ধরেন তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের নানা স্মৃতি, উদীয়মান ফুটবলারদের ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ, দোহাজারীতে মাঠ সংকট সহ নানা বিষয়।

সিটিজি সংবাদঃ আপনি এখন কি করেন?

আসকর খান বাবুঃ ঠিকাদারী ব্যবসা।

সিটিজ সংবাদঃ ফুটবল খেলা শুরু করেছেন কখন থেকে?
আসকর খান বাবুঃ ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন কিশোর ফুটবল লীগের মাধ্যমে। 

সিটিজি সংবাদঃ চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবে সুযোগ পেলেন কিভাবে? চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে খেলা কোন স্মরণীয় ম্যাচের স্মৃতি।

আসকর খান বাবুঃ কিশোর লীগ ও ২য় বিভাগে নজরকাড়া পারফরমেন্স প্রদর্শন করায় ১ম বিভাগের বিভিন্ন দল থেকে ডাক আসে। আবাহনীর প্রতি আলাদা টান থাকায় এবং তখনকার আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠীর সভাপতি বর্তমানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ভাইয়ের পরামর্শে ও সহযোগীতায় ১৯৮৯ সালে আবাহনী জুনিয়র দলে অভিষেক হয়। তখন সতীর্থ খেলোয়াড় ছিলেন গোলকিপার মহসিন, স্ট্রাইকার নকীব, মিডফিল্ডার জুলফিকার আলী মিন্টু, বখতিয়ার, জোবায়ের হোসেন নিপু, রউফ বাবু, বড় ফরহাদ, শিফাত, বড় এমিলি, স্বপন সহ আরো অনেকে।

সিটিজি সংবাদঃ ঢাকায় খেলার সুযোগ হয় কিভাবে, কোন কোন ক্লাবে খেলেছেন? দলবদলের স্মরণীয় কোন স্মৃতি।আসকর খান বাবুঃ তখনকার সময়ে খেলোয়াড়রা ২/৩ টা লীগে খেলতে পারতো। আবাহনীর একজন খেলোয়াড়ের ফ্লাইট মিস হওয়ায় তার যায়গায় আমার সুযোগ হয়। মূল একাদশের খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে আমাদের জেতা ম্যাচে আমার নৈপুণ্য দেখে দর্শকেরা বলাবলি করছিলো আসলামের উত্তরসূরী ২য় আসলাম এসে গেছে। তখন ঢাকা লীগের বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিরা চট্টগ্রামে এসে খেলা দেখে খেলোয়াড় বাছাই করতো। তখন বাংলাদেশের ৩ নম্বর ক্লাব ছিলো ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলার প্রস্তাব আসলেও আবাহনীর অধিনায়ক মসীহ সালাম ভাই রিকোয়েস্ট করলো সালাহউদ্দীন ভাই ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবে ১মাস ক্যাম্প করাবে আমি যেন তাতে যোগ দেই। আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠীর সভাপতি বর্তমানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ভাইয়ের পরামর্শে সালাহউদ্দীন ভাইয়ের অধীনে ক্যাম্পে প্র্যাকটিস করি। প্রাকটিসের দায়িত্বে আরো ছিলেন জাতীয় কোচ আব্দুর রহিম। এর পর ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবে নিয়মিত খেলি।

সিটিজি সংবাদঃ জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন কিভাবে,কত বছর খেলেছেন? দেশের বাইরে কোথায় খেলেছিলেন? 

আসকর খান বাবুঃ ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব তখন জায়ান্ট কিলার হিসেবে বড় দলগুলোকে রুখে দেয়ার পাশাপাশি পরাজিত করে অঘটন ঘটাতো নিয়মিত। ১৯৯৬ সালে প্রথম জাতীয় দলে ডাক পাই। মায়ানমার ট্যুরের জন্য ঘোষিত ২৪ জনের প্রাথমিক দলে ছিলাম। ঐ ট্যুরে জুয়েল রানা, বর্তমানে নীলফামারী ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি মুন, গোলকিপার ধনু ও আমাকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রেখে গিয়েছিলো। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন প্রয়াত মোনেম মুন্না এবং কোচ ছিলেন অটো ফিস্টার। ঐ ট্যুরের পর অনুর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে ডাক পাই। সেই দলের খেলোয়াড় হিসেবে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত এশিয়ান যুব ফুটবল টুর্নামেন্টে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হই। বর্তমান সময়ের মত ঐসময় জাতীয় দলের তেমন কোন টুর্নামেন্ট ছিলোনা। জাতীয় দলে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত খেলেছি।

সিটিজি সংবাদঃ খেলার মাঠে কষ্টদায়ক কোন স্মতি রয়েছে কি?

আসকর খান বাবুঃ ১ম সাফ গেমসের দলে ডাক পেয়ে যখন খুশিতে আত্মহারা হয়েছিলাম কিন্তু মোহামেডানের খেলোয়াড় হিসেবে আরামবাগের বিপক্ষে পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় সে টুর্নামেন্ট মিস করায় আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছিলো।

সিটিজি সংবাদঃ খেলার মাঠে স্মৃতিময় আনন্দদায়ক ঘটনা?

আসকর খান বাবুঃ ঢাকা মোহামেডানের খেলোয়াড় হিসেবে এশিয়ান ক্লাব কাপ এবং ঢাকা আবাহনী লিমিটেড'র খেলোয়াড় হিসেবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলা।

সিটিজি সংবাদঃ ঢাকা থেকে কবে চলে এলেন?

আসকর খান বাবুঃ ২০০৪ সালে, সর্বশেষ ক্লাব ছিলো ঢাকা আবাহনী।

সিটিজি সংবাদঃ দোহাজারী আবাহনী ফুটবল একাডেমী ও উদীয়মান ফু্টবলারদের সম্পর্কে কিছু বলুন?

আসকর খান বাবুঃ দোহাজারী আবাহনী ফুটবল একাডেমী থেকে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে এসেছে। আমার ছোট ভাই শওকত খান সাকু ও শিমুল খানের পর প্রয়াত মোঃ ছোটন ঢাকা লীগে খেলেছে। সালমান ফার্সী অনুর্ধ্ব-১৫ দলে ডাক পায়। জিকু চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলে খেলেছে। এছাড়া একাডেমীর অনেক খেলোয়াড় চট্টগ্রামের বিভিন্ন লীগ ও টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগরী ইস্পাহানী পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দোহাজারী আবাহনী ক্রীড়াচক্র। 

সিটিজি সংবাদঃ দোহাজারী আবাহনী ফুটবল একাডেমীর সম্ভাবনাময় ফুটবলার নিয়ে?

আসকর খান বাবুঃ দোহাজারী আবাহনী ফুটবল একাডেমীতে অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার আছে। মাঠ সংকটের কারনে নিয়মিত প্রাকটিস করতে না পারায় তারা বিকশিত হতে পারছেনা। দোহাজারীতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি খেলার মাঠ তৈরী করা গেলে দোহাজারীর ফুটবলারেরা আবারো ঢাকা লীগ মাতাবে এবং জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।

সিটিজি সংবাদঃ ফুটবলে দেশে ও দেশের বাইরে আপনার প্রিয় দল ও সেরা খেলোয়াড় কে?

আসকর খান বাবুঃ দেশে প্রিয় দল আবাহনী, বিদেশে জুভেন্টাস। দেশে প্রিয় খেলোয়াড় প্রয়াত মোনেম মুন্না ও জীবন্ত কিংবদন্তি বাফুফে সভাপতি সালাহউদ্দীন ভাই, বিদেশে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

সিটিজি সংবাদঃ বর্তমানে জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক দলের পারফরমেন্স, ঘরোয়া ফুটবলে মানহীন বিদেশি ও গ্যালারিতে দর্শকখরা সম্পর্কে কিছু বলবেন?

আসকর খান বাবুঃ আমাদের সময়ে ফুটবলে জোয়ার ছিলো। ফুটবল উম্মাদনায় মেতে থাকতো সারা দেশ। আবাহনী বনাম মোহামেডান খেলা হলে বাড়ীর ছাদে, গাছের মগডালে সহ বিভিন্ন যায়গায় দুই ক্লাবের পতাকা পতপত করে উড়তো। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা কোন কোন সময় মারামারিতে রূপ নিতো। ফুটবলকে ভালোবেসে মাঠে এসে তারকা ফুটবলারদের ক্রীড়াশৈলী দেখে দর্শকদের মন ভরে যেতো। বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলারসহ মানসম্মত ফুটবলার দলে নিতো ক্লাব অফিসিয়ালরা। মোনেম মুন্না, সালাহউদ্দীন, আসলাম, কায়সার হামিদ, চুন্নুদের মত মেধাবী ও তারকা খেলোয়াড় এখন উঠে আসতেছেনা। আমাদের সময় তরুণ প্রজন্মের প্রবল আগ্রহ ছিলো ফুটবলের প্রতি। বিকেল হলেই খেলার মাঠে ছুটে যেতাম। বর্তমানে সেটা তেমন দেখা যাচ্ছেনা। ফুটবলের হারানো সেই জৌলুস ফিরিয়ে আনতে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে আরো শক্তিশালী করে বেশি বেশি বয়সভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। মাঠ সংকট দূর করতে সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। যুব সমাজকে মাদকের করালগ্রাস থেকে রক্ষা করতে খেলাধুলার বিকল্প আর কিছুই নেই।

সিটিজি সংবাদ : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ্আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য।

আসকর খান বাবু : আপনাকেও ধন্যবাদ। দেশের ফুটবল ও ক্রীড়ার প্রতি ভালবাসা প্রদর্শনের জন্য আপনার মাধ্যমে দর্শকদেরও ধন্যবাদ জানাই।