image

বাবা-ছেলের হৃদয়ছোঁয়া গল্প

image

ক্রিস্টিয়ান, বয়স মাত্র এক বছর। মায়াবী মুখ সবার ভেতরটা নাড়িয়ে দিবে, যখন জানবে- ছোট্ট শিশুটি কঠিন রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত। ৩২ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির একটি শিশু হাসপাতালে পড়ে আছে। তার সাথে সর্বক্ষণ আছেন বাবা, কেনি থমাস। বয়স চৌত্রিশের এই তরুণ বাবা একজন নৃত্যশিল্পী। একটি ডান্স স্টুডিওর ডিরেক্টর। সম্প্রতি এই বাবা-ছেলের একটি ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন তুলেছে।
তার আগে বলে রাখা ভালো, গত মাসেই ক্যান্সার ধরা পড়েছে ছোট্ট ছেলে ক্রিস্টিয়ানের শরীরে। এরপরই বাবা তাকে শিশু হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসা চলছে ক্রিস্টিয়ানের। প্রথম কেমোথেরাপি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এবার আসা যাক সেই ভিডিও'র কথা। চিকিৎসার প্রথম ধাপটি অতিক্রম করেছে ছোট্ট ক্রিস্টিয়ান। সেই মুহূর্তটি উদযাপন করতে ছেলের সামনে নাচতে থাকেন বাবা। নতুন গান 'লেভেল আপ' এর সাথে তালে তালে সেই অসাধারণ নাচ দেখে ছোট্ট শিশুটি হাত-পা ছুড়তে থাকে। বাবার মতো করে নাচারও চেষ্টা করে। হাত বাকিয়ে, মাথা নাড়িয়ে বাবাকে অনুকরণ করতে থাকে। তখন ক্রিস্টিয়ানকে দেখে বোঝার উপায় নেই কী কঠিন রোগে আক্রান্ত সে।
অসুস্থ সন্তানকে স্বাভাবিক করতে বাবার এই চেষ্টা সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। ভিডিওটিতে 'লেভেল আপ' গানের সাথে নতুন ধরণের নাচ করে বাবা-ছেলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। একই ধরণের টি-শার্ট এবং চুলের স্টাইলে- সবাইোনেক মজাও পেয়েছেন।
ক্রিস্টিয়ানের বাবা বলেন, 'গান ওর জন্য থেরাপরি মতো কাজ করে। যখন গান বাজতে থাকে এবং কেউ নাচতে থাকে ও খুব মজা পায়।'
তিনি আরো বলেন, 'আমি সব সময় ওকে আমার স্টুডিওতে নিয়ে যাই। ও সর্বক্ষণ আমাকে নাচতে দেখেন। ওকে দেখে আমি অনুপ্রাণিত হই।

সূত্র: শীর্ষনিউজ