শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫:৫৩, আগস্ট ১৯, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঈদকে সামনে রেখে চট্রগ্রাম -কক্সবাজার আরাকান রুটে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমনকি শাহ আমানত নতুনব্রিজ এপার ওপার হতে-পটিয়া ২০ টাকার ভাড়ায়,আদায় করছে ৪০ টাকা। এমন ঘটনা নিত্যদিনে ঘটছে বলে জানা যায়।
সুত্রে আরো জানা যায়, গত এ সপ্তাহ যাবত থেকে কোনো কারণ ছাড়াই কর্তৃপক্ষ এ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে বলে নারী পুরুষ নানা যাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ যাত্রী বহন করছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
জানা গেছে, চট্রগ্রাম -কক্সবাজার-আরাকান রুটে স্পেশাল সার্ভিস,সৌদিয়া,মিনিবাস,সিএনজি অটো,পরিমনি,কচিমনি,নানা পরিবহনের লোকাল বাস সমূহ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা অব্যাহত রেখেছে।
ভুক্তভোগীদের অনেকেই আমাদের প্রতিবেদককে অভিযোগ করেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে যাত্রী ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ বেশি যাত্রী পরিবহন করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
এছাড়া ও কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে সরকারি নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। শাহ আমানত নতুন ব্রিজ হতে কক্সবাজার ২৪০টাকা ভাড়া ছিলো হঠাৎ তা দাড়িয়েছে ৩০০/৩৫০ টাকা।
চট্রগ্রাম কক্সবাজার আরাকান সড়কে সিএনজি অটো চকরিয়া জনপ্রতি ২০০টাকা হলেও আদায় করছে ৩০০টাকা।
শাহআমানত ব্রিজ হতে পটিয়া প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের ভাড়া ছিল ২০টাকা তা দাড়িয়েছে ৪০টাকায়। মঙ্গলবার থেকে কোনো কারণ ছাড়াই এ ভাড়া বৃদ্ধি করে আদায় করা হয়েছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন ট্রাফিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব থাকায় ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় সাধারণ যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। যাত্রী তাহের জানান, প্রতি সপ্তাহে তিনি তার পরিবার নিয়ে পটিয়ায় আসা যাওয়া করেন জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়ায়।
এখন নোহা বা হাইস সব কটি লোকাল বাসও স্পেশাল নামে আদায় করছে ৪০টাকা করে। যা যাত্রী হয়রানি ছাড়া কিছু নয় বলে কড়া মন্তব্য করেন তিনি।
চট্রগ্রাম কক্সবাজার আরাকান সড়কে এ সমস্ত সার্ভিস বাস গুলো ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। এতে যাতায়াতে জীবনের ঝুঁকি থেকে যায়।
এদিকে চট্রগ্রাম ট্রাফিক বিভাগের কর্ণফূলী এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা টিআই সিরাজদ্দৌলা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের কোন অভিযোগ নেই। তবে কে কত টাকা আদায় করতেছে তা প্রশাসনের কাছে স্বীকার করেনা বাসমালিক এমন মন্তব্য করেন তিনি।
কর্নফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জি জানান,অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ধারন ক্ষমতার বাহিরে যাত্রী পরিবহন করলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited