শিরোনাম
ঢাকা ব্যুরো | ২৩:৫১, ফেব্রুয়ারী ৮, ২০১৯
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঘাটারচরে টোটাইল মোজায় একটি সরকারী খাল ভরাট করে হাউজিং করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকা জেলা স্চ্ছো সেবকলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে ৫/৬জনের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এই খাল ভরাটের অভিযোগ উঠছে।খালের উপরে ৫৪লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি ব্রীজ নির্মানের সাত মাস পরেই এই খালটি ভরাট করা হয়েছে ।গতবছরের জুন মাসের ৭তারিখে ব্রীজটি উদ্ধোধন করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়মীলীগের আহবায়ক শাহীন আহমেদ।ভরাটকৃত খালটির জমির পরিমান প্রায় ৩’শ শতাংশ । এই জমির আনুমানিক বর্তমান মুল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা যায়, তারানগর ইউনিয়নের ঘাটারচরে টোটাল মৌজায় একমাত্র শতবর্ষের পুরাতন খাল হচ্ছে এটি।এই খাল দিয়ে নৌকাযোগে এক সময় ঘাটারচর,জয়নগর,কলমারচর,আটিসহ কয়েকটি ্গ্রামের লোকজন বুড়িগঙ্গা হয়ে রাজধানীর বছিলা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় যাতায়াত করতো।গতবছরের জুনমাসে খালের উপর ঘাটারচর, কলমারচর ও সাভারের বাকুর্তা ইউনিয়নের লুটেরচরের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে এই ব্রীজটি নির্মিত হয়।ব্রীজ নির্মানের আগেই খালটি পুনঃ খনন করাও হয়। কিন্তু ব্রীজ নির্মানের সাত মাস যেতে না যেতেই হাউজিং ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট এই খালটি ভরাট করে তাদের ক্রয়কৃত জমির সাথে একত্রিত করে প্লট আকারে বিক্রি করছে।খালের পানি গ্রামবাসী কৃষি কাজে ব্যবহার করতো। খালটি ভরাট করে ফেলায় একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে সরকারের ৩০কোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাচ্ছে।
ঘাটারচরের খালের পাড়ের বাসিন্দা মোঃ রতন মিয়া জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত এই খালের পানি জমিতে সেচের কাজে এবং গৃস্থালীর নানা কাজেও ব্যবহার করতাম। খাল ভরাটের প্রতিবাদ করায় আমরা এখন ওই সিন্ডিকেটের লোকজনের হুমকির মধ্যে আছি।
এব্যাপারে স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কোন খালের জায়গা ভরাট করেনি। আমরা আমাদের বাপ-দাদার পৈত্রিক রেকোডিও সম্পত্তি ভরাট করে প্লট করেছি। তারানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক বলেন, ব্রীজ নির্মানের আগেই খালটি পুনঃ খনন করা হয়। কিন্তু একটি চক্র রাতের আধারে খালটি বালি ফেলে ভরাট করে ফেলে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য খালটি রক্ষা করা দরকার।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহে এলিদ মাইনুল আমিন বলেন,সরকারী খাল কেউ ভরাট করতে পারবে না। কেউ যদি তা করে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited