image

আজ, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কর্ণফুলীর ইছানগরের বেওয়ারিশ সেই ২ বাড়ীতে অভিযান : শূণ্য হাতেই ফিরল প্রশাসন

কর্ণফুলী সংবাদদাতা    |    ২২:০২, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০১৯

image

কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটার ইছানগরে গড়ে ওঠা রহস্যময় দুই আলিশান বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা অবৈধ কোন কিছু না পেয়ে এক প্রকার খালি হাতেই ফিরেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বিপুল প্রস্তুতির এ অভিযানে কেবলমাত্র ৫টি সিসিটিভি জব্দ ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন কিছুরই সন্ধান না মেলায় কিছুটা হতাশও প্রশাসনভ 

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৩ দিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের বাসা ছাড়ার মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সামশুল তাবরীজ এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

অভিযানে উপজেলা প্রশাসনের এই ভ্রাম্যমান আদালতের সহযোগিতায় ছিলেন কর্ণফুলী থানার ওসি তদন্ত মো. হাসান ইমাম, এসআই মো. দিদার হোসেন, এসআই মোহাম্মদ আলম খাঁন, এএসআই মো. জুবায়ের হোসেন, এএসআই আশুতোষ চন্দ্র সরকার, এএসআই রফিকুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স ও স্থানীয় চৌকিদার।

জানা যায়, কয়েকদিন আগেও দুই বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল প্রশাসন ও দুদক। দুই বাড়ির প্রকৃত মালিকেরা সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানের সময় বিদেশে পালিয়ে যায় বলে প্রচার রয়েছে।

তবে তাদের বৈধ ব্যবসার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। মূলত মাদক ব্যবসার আয়ে এই রহস্যময় দুটি বাড়ি তৈরি করেন বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে। অভিযানকালে দুই বাড়িতে ভাড়াটে কিছু মহিলা ও শিশু সন্তান ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। মৌখিকভাবে দুই ভবনের সকল ভাড়াটিয়াকে আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে বাসা ছাড়ার নিদের্শনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, ‘মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইছানগরের দুই আলিশান বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ভাড়াটিয়াদের সর্তক ও কয়েকটি সিসিটিভি জব্দ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

সরেজমিনে জানা যায়, কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইছানগর এলাকার বিএফডিসির ঠিক বিপরীতে ডায়মন্ড সড়কের বাঁ পাশে গড়া ওঠা দুটি আলিশান বাড়ি। প্রায় ১০ থেকে ১৫ গণ্ডা জমির উপর বাড়ি দুটির বাউণ্ডারি। দেখতে সুবিশাল রাজ প্রাসাদের মতোই ঢের দাড়িয়ে রয়েছে।

নীল রংয়ের পাঁচতলা বাড়িটি হেলাল নামে এক ব্যক্তির। গোল্ডেন কালারের চারতলা বাড়ি হাজেরা মঞ্জিল নামে পরিচিত। যার মালিক টেকনাফের মোহাম্মদ হোসেনের বলেও প্রচলিত। দুজনেই মামা ভাগ্নে বলে স্থানীয়রা তথ্য দেন। মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হলে দুজনে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে পাড়ি দিয়েছেন বলেও খবর রটেছে। তথ্যমতে কেয়ারটেকার হিসেবে তাহের ও আমিন নামে দুজন লোকের নাম আসে।

চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দারা সঠিক তথ্য দিতে না পারলেও অনেকে বলেছেন, বাড়ি দুটির মালিক টেকনাফ থেকে আগত। ওরা কিছুদিন আগে ইছানগরের মীর্জা বাড়ির হাফেজ আহমেদ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় করে। পরে দ্রুতই নির্মাণ করে এই দুটি বহুতল ভবন ।

অভিযোগ উঠেছে, রহস্যময় এ দুটি প্রাসাদের যারা মালিক তারা টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ী। যারা টেকনাফ পুলিশের খাতায় ওয়ান্টেট ক্রিমিনাল। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

টেকনাফের এই কথিত ভবন মালিকেরা কর্ণফুলীতে আসার পর থেকেই এখানে মাদকের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে বলে স্থানীয়দের মাঝে অভিযোগ উঠেছে।



image
image

রিলেটেড নিউজ

Los Angeles

২৩:৫৭, জুন ১৪, ২০২২

মিরসরাইয়ে ট্রাক চাপায় রিকশা নিহত ২, আহত ২ 


Los Angeles

২০:০৫, জুন ১৩, ২০২২

চন্দনাইশে ইয়াবা ও চোলাই মদসহ আটক ২


Los Angeles

২৩:৩৩, জুন ১১, ২০২২

ইয়াবা পাচারকালে চন্দনাইশে আটক ১


image
image