শিরোনাম
পেকুয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা | ২২:৫৫, এপ্রিল ১১, ২০১৯
পেকুয়ায় ফাতেমা বেগম নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে রহস্যজন্ম নিয়েছে। এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা তা বুঝা যাচ্ছে না। তবে এ নিয়ে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।
১১ এপ্রিল (বৃহষ্পতিবার) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফাতেমা ওই এলাকার আবুল কাসেমের মেয়ে ও রাজাখালী বি ইউ আই ফাযিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী। নিহতের পরিবারের পক্ষের দাবী ফাতেমা বাড়ির তীরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এলাকাবাসীর দাবি তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এসময় বাবা ও ছোট বোন তৈয়বাকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায় নিহতের গায়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জানা গেছে বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পন্ডিতকাটা এলাকার সৌদি প্রবাসি আমিন উল্লাহ'র ছেলে জাবের হোসেনের সাথে ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তারা দু'জনেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে মনস্থির করে। কিন্তু দু'জনেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তাদের প্রেমের সম্পর্কটি মেনে নেয়নি দু'পক্ষের অভিভাবক। ফাতেমার বড় বোন আমেনা বেগম জানায় জাবেরের সাথে আমার বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মুঠোফোনে তাদের সম্পর্ক হয়। জাবের আমার শাশুর বাড়ি এলাকার বাসিন্দা। ভোরে ছোট বোন তৈয়বা ফাতেমার বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে বলে ফোনে জানায়। ভোর ৫টায় ফাতেমার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় বাড়িতে। সকালে জাবের বাড়ির সামনে রাস্তায় বিষ পান করে চেচামেচি করে। পরে নিজেই থানায় গিয়ে ফাতেমার আতœহত্যার কথা পুলিশকে জানায়। নয় মাস আগে মা মারা গেছে। ছয় ভাই বোনের মধ্যে ফাতেমা চতুর্থ। ফাতেমাকে মারধর করা হয়নি। অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে ফাতেমা। তবে বোনের আতœহত্যার জন্য প্রেমিক জাবের হোসেনকে দায়ী করেছেন নিহতের পরিবারের লোকজন।
পেকুয়া থানার এসআই আব্দুল মালেক জানায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গায়ে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিতা আবুল কাসেম ও ছোট বোন তৈয়বাকে থানায় আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জাকের হোসেন ভুইয়া ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited