image

আজ, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

উখিয়ায় শিশু পার্ক না থাকায় শিশুরা বিনোদন বঞ্চিত

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা    |    ১৫:৪৪, এপ্রিল ১৬, ২০১৯

image

কক্সবাজারের উখিয়া বিশ্বের দরবারে পরিচিত একটি নাম। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এই এলাকার শিশুদের জন্য কোন পার্ক না থাকায় বিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। ফলে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা ছাড়া শিশু বান্ধব কার্যক্রমে তারা অংশ নিতে পারে না। অথচ রোহিঙ্গা শিশুরা লেখা-পড়ার পাশাপাশি বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছে। তারা অবসরে দোলনায় ও খোলা মাঠে খেলা করছে।

স্থানীয়রা বলছেন, এনজিওরা রোহিঙ্গাদের জন্যে ৭০ শতাংশ আর স্থানীয়দের ৩০ শতাংশ ব্যয় করে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মাঝে সহাবস্থান তৈরি করবেন। কিন্তু এনজিওরা তাদের কথা রাখেননি। চাকরি থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য ৭০ টি দোলনা থাকলে স্থানীয় শিশুদের জন্য ৩০ টি দোলনা থাকার কথা। কিন্তু স্থানীয় শিশুদের জন্য ১ টি দোলনারও ব্যবস্থা করেনি এনজিওরা।

সুশিল সমাজ মনে করছেন, উখিয়ায় শিশু পার্কসহ বিনোদনের আরো স্পট গড়ে উঠলে উখিয়া তথা কক্সবাজারের পর্যটন খাত থেকে সরকার বড় অংকের রাজস্ব আদায় করতে পারবে। উখিয়ায় অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন ফাইভ স্টার মানের আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেছে। যার ফলে শিশুরাসহ নানা বয়সী পর্যটকরা বঞ্চিত হচ্ছে বাড়তি বিনোদন থেকে।

স্থানীয় সমাজ কর্মী দিলারা জাহান বলেন, এনজিওরা হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে রোহিঙ্গাদের জন্যে। সেক্ষেত্রে স্থানীয়দের যেভাবে মূল্যায়ন করা দরকার ছিল তা কিন্তু করছে না। অপার সম্ভাবনাময় এই উখিয়ায় শিশু পার্কসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও এনজিওর সমন্বয়ে পরিকল্পিত কাজ করা দরকার।

পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, এনজিওরা পরিকল্পিত কাজ অপরিকল্পিতভাবে করে যাচ্ছে। তাই স্থানীয়দের সাথে এনজিওদের দুরত্ব বাড়ছে।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের টানে পর্যটকরা কক্সবাজার ও উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে ছুটে আসে। অথচ তাদের দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে বাড়তি কোনো আয়োজন নেই এখানে। সমুদ্র দর্শন আর কেনা –কাটা শেষে তেমন কিছু করার থাকে না। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মুগ্ধ করার মতো বাড়তি আয়োজনের অভাববোধ করে সবাই।

উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র তাহমিদ কবির জানায়, উখিয়ায় একটি শিশু পার্ক থাকলে অনেক মজা হতো। এখন বিনোদন বলতে মাঝে মধ্যে বাবা-মায়ের সাথে ইনানী সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়া ছাড়া আর কোন জায়গা নেই। শিশু পার্ক না থাকায় সৈকতে ঝুঁকি নিয়ে বীচ বাইক, স্পীড বোটে চড়ে আনন্দ করতে হয়।

উখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র তামজিদ কবির জোনায়, অনেকের কাছ থেকে শুনেছি পার্কের আনন্দের কথা। আমাদের এখানে এসব না থাকায় আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। উখিয়ার মধ্যে একটি শিশু পার্ক খুব জরুরী।

স্থানীয়দের মতে, উখিয়ায় যে পরিমাণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে সে অনুপাতে পর্যটক সুবিধা বাড়েনি। পর্যটন শিল্প বিকাশে ইনানী সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও  তা এখনো কাজে লাগানো হয়নি।

শিক্ষিকা আনজুমান আরা বেগম বলেন, আগামী প্রজন্মের শিশুদের জন্য একটি বিনোদনের স্থান, একটি শিশু পার্ক স্থাপনের কেউ চিন্তা করেনি। এখন সময়ের দাবি শিশুদের কথা ভাবতে হবে।



image
image

রিলেটেড নিউজ

Los Angeles

০১:১৭, মে ১৪, ২০২২

বাঁশখালী ইউপি নির্বাচনে নৌকায় শেষ হাসি যাঁদের


Los Angeles

০০:৩০, মে ১৪, ২০২২

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ঘেষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া


Los Angeles

১৬:২৬, অক্টোবর ১৬, ২০২১

বীর নিবাস পাচ্ছেন বাঁশখালীর ১০ মুক্তিযোদ্ধা


Los Angeles

২০:৩৩, অক্টোবর ১৩, ২০২১

তিন প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে বিপাকে বাঁশখালীর এক দরিদ্র পরিবার


Los Angeles

১১:২৪, অক্টোবর ১০, ২০২১

সীতাকুন্ড ইউপি নির্বাচন : নৌকা দাবি ৪৩জনের


Los Angeles

২০:১৯, অক্টোবর ৮, ২০২১

আবিষ্কারের বিস্ময় বালক বাঁশখালীর আশির, প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা


Los Angeles

২১:৩৮, অক্টোবর ৭, ২০২১

করোনাকালে বাল্যবিয়ে : পড়ালেখায় ইতি টেনে অনেক কিশোরী এখন পুরোদস্তুর সংসারী


image
image