image

আজ, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ফ্রি সেলের নামে সরকারের চিনি হাতিয়ে নিতে সক্রিয় সিন্ডিকেট

ইকবাল কবির, ব্যুরো চীফ (ঢাকা)    |    ১৩:০৮, এপ্রিল ২৫, ২০১৯

image

দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগন্জের এবং ঢাকার মৌলভীবাজারের একটি চিনি সিন্ডিকেট বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন( বিএসএফআইসি) এর প্রায় ৬৪ হাজার টন হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন। এই চিনি সিন্ডিকেট চক্রটি চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী নেতার সহায়তায় ঢাকায় চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনে থাকা জামায়াত - বিএনপিপন্থি একটি চক্রের সহায়তায় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে তদ্বির করে যাচ্ছেন করপোরেশনের ৬৪ হাজার টন চিনি রমজানের আগেই ফ্রী সেলে ক্রয় করে নিতে।

চট্টগ্রামের পোর্ট কলোনী ওয়ার হাউজ, সাগরিকা রোড ভিক্টোরিয়া গোডাউন এবং মাঝির ঘাটের গোডাউনে প্রায় ৬৪ হাজার টন প্লানটেশন সাদা চিনি মওজুদ রয়েছে, যা ভারত থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে আমদানি করা হয়েছিলো।

খাতুনগন্জের চিনি ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান জানান, ২০১৮ সালে চিনি আমদানির পর আমাদের ডিলারদের বাজার দরের চেয়ে সাত টাকা বেশী দরে বিক্রি করতে দেয়, ওই সময়ে  কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন। আমরা ডিলাররা বাজারের চেয়ে বেশী দরে চিনি বিক্রি করতে পারবো না জানিয়ে দেয়ায় গত দুই বছরেরও বেশী সময় ধরে এই চিনি সরকারে গোডাউনেই  ফেলে রাখা হয় রহস্যজনক কারণে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার মৌলভীবাজারের ৪জন এবং চট্টগ্রামের খাতুনগন্জের ২ চিনি ব্যবসায়ী ৬৪ হাজার টন চিনি ফ্রি সেলের নামে তাদের হেফাজতে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। আর তাদের পেছনে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী নেতা নেপথ্যে শক্তি হিসেবে কাজ করছেন।

ঢাকা এবং চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের অভিমত, সরকারের চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের এই চিনি যেন কোনক্রমেই বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেটের হাতে না যায়। তবে আসন্ন রমজানে মিল মালিক এবং বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেট কৃতিম সংকট তৈরী করে চিনির  মূল্যে আগুনের উত্তাপ বাড়িয়ে দিবে।

ব্যবসায়ীরা মনে করেন, অবিলম্বে সরকারকে বাজার মনিটরিং এ কঠোর অবস্হান নিতে হবে। বিশেষ করে সরকারের চিনি গুলো উত্তোলনের পর যাতে অসাধু ব্যবসায়ীদের গোডাউনে চলে না যায়।

টিসিবি ডিলারদের মধ্যে অসন্তোষ : এদিকে মঙ্গলবার থেকে ঢাকার ৩৫টি স্পটসহ সারাদেশের ১৮৫টি স্পটে টিসিবি চিনি, তেল ও ডাল বিক্রি শুরু করলেও ব্যানারে লেখা আরো দুটি পণ্য ছোলা এবং খেজুর না থাকায় ভোক্তারা ডিলারদের উপর ক্ষুব্দ হচ্ছেন। কারণ ইতোমধ্যে বাজারে ছোলা ও খেজুরের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এক কেজি ছোলা খুচরা ৭৫ থেকে বেড়ে ৮০/৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।টিসিবির ছোলার মূল্য ৬০ টাকা কেজি।

টিসিবির ডিলাররা মনে করছেন, খুচরা বাজারে দাম বেশী হওয়ায় আমাদের কাছে ভোক্তারা ছোলা- খেজুর চাইলেও আমরা দিতে পারছি না। অথচ টিসিবির গোডাউনে ছোলা - খেজুর মওজুদ নিয়ে বসে আছে। আর এই সুযোগে এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী ৬০ টাকার ছোলা ৭০/৭৫ বিক্রি করে বিক্রি করে মোটা অংকের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই ব্যর্থতায় পরিণত হওয়ার আশংকা রয়েছে।



image
image

রিলেটেড নিউজ

Los Angeles

০১:১৭, মে ১৪, ২০২২

বাঁশখালী ইউপি নির্বাচনে নৌকায় শেষ হাসি যাঁদের


Los Angeles

০০:৩০, মে ১৪, ২০২২

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ঘেষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া


Los Angeles

১৬:২৬, অক্টোবর ১৬, ২০২১

বীর নিবাস পাচ্ছেন বাঁশখালীর ১০ মুক্তিযোদ্ধা


Los Angeles

২০:৩৩, অক্টোবর ১৩, ২০২১

তিন প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে বিপাকে বাঁশখালীর এক দরিদ্র পরিবার


Los Angeles

১১:২৪, অক্টোবর ১০, ২০২১

সীতাকুন্ড ইউপি নির্বাচন : নৌকা দাবি ৪৩জনের


Los Angeles

২০:১৯, অক্টোবর ৮, ২০২১

আবিষ্কারের বিস্ময় বালক বাঁশখালীর আশির, প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা


Los Angeles

২১:৩৮, অক্টোবর ৭, ২০২১

করোনাকালে বাল্যবিয়ে : পড়ালেখায় ইতি টেনে অনেক কিশোরী এখন পুরোদস্তুর সংসারী


image
image