শিরোনাম
মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশ সংবাদদাতা | ০০:৩৩, মে ১৮, ২০১৯
মধুমাস হিসেবে পরিচিত জৈষ্ঠ মাস চলছে এখন। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ও আনারস সহ অন্যান্য মৌসুমি ফল বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। বাজারে বাহারি রঙের ফল পাওয়া গেলেও একমাত্র নির্ভেজাল ফল হচ্ছে কাঁচা তাল বা তালের শাঁস। এই ফলে ফরমালিন কিংবা অন্যন্য রসায়নিক/কেমিকেল, কিটনাশক মেশানোর সুযোগ নেই। এখন তালগাছে ঝুলে আছে কাঁধি কাঁধি কচি তাল। অনেকে বিক্রির জন্য কচি তাল বাজারে তুলেছে। তাই এই গরমে হরেক রকম মৌসুমী ফলের সঙ্গে ফলপিপাসু মানুষের কাছে দিন দিন তাল-শাঁসের কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই রাস্তার পাশে বসে ও দাঁড়িয়ে এ ফল খাচ্ছেন। কেউ খুচরো কিনছেন, কেউবা কাঁধি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। তীব্র গরমে তাল শাঁস মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। তাই তীব্র গরমে একটু স্বস্থি পেতে তাল শাঁসের কদর বেড়েছে।
দোহাজারী পৌরসভার ষ্টেশন রোডে রেলষ্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে তালের শাঁস বিক্রি করছেন নাসির উদ্দীন, রহমান, আব্দুল জলিল। রিকসা চালক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী বা পেশার লোকজনই মৌসুমী ফল তাল শাঁস ক্রয় করতে ভীড় করছেন তালের শাস বিক্রেতাদের সামনে। ইফতারের পর থেকে ভীড় লেগে থাকে তালের শাস বিক্রেতাদের দোকানে। গরমে একটু স্বস্তি পেতে তালের শাঁস খাচ্ছেন ছেলে বুড়ো সকলেই। একটি তাল-শাঁস বর্তমান বাজারে ১৫/২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক একটি তালের ভেতরে তিন-চারটি আঁটি বা শাঁস থাকে। তাল-শাঁস বিক্রেতারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে গাছের মালিকদের কাছ থেকে পাইকারিভাবে কচি তাল কিনছে। একটি গাছে তিন থেকে পাঁচশ তাল ধরে। প্রতিটি কচি তালের পাইকারি দাম তিন থেকে চার টাকা। তবে আশংকার কথা হলো কচি তালের শাঁস বিক্রি করার ফলে পাকা তাল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে। ভাদ্র মাসের পাকা তালের রসে তৈরী পিঠা খেতে যারা ইচ্ছুক, ঐসকল ব্যক্তিরা বিপাকে পড়বেন বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited