সিএমইউজে’র বার্ষিক মিলাদ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি    |    ০১:৪২, মে ২১, ২০১৯

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে সময়ে সাংবাদিকরা দূর্যোগময় সময় অতিক্রম করছে। যারা এক সময় সাংবাদিকতায় এসেছিল অনেকেই সাংবাদিকতা করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছে। আজকের প্রেক্ষাপটে অনেক সাংবাদিক নিজেদের পেশা ছেড়ে ব্যবসায় মনোনিবেশ করছে অনেকে দেশের বাহিরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। অনেকে অন্যত্র চাকরি করছে। সাংবাদিক যে উদ্দেশ্যে নিয়ে এই পেশায় এসেছিলো সেটা এখন বাংলাদেশে অনুপস্থিত। মূলত: অবদমিত ও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সত্যিকার অর্থে সাংবাদিকতা চর্চা অসম্ভব।

দেশের সব শ্রেনী ও পেশার মানুষকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি ২০মে সোমবার নগরীর লালখান বাজারস্থ পিটস্টপ রেস্ট্ররেন্টে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) আয়োজিত বার্ষিক মিলাদ ও ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যে রাজনীতিতে মানুষের কোন সম্মতি নাই সেই রাজনীতির কোন ভিত্তি থাকে না। নিয়ন্ত্রিত ও জুলুমতন্ত্র কায়েমের মাধ্যমে সরকার যে তাসের ঘর গড়ে তুলেছে তা যে কোন মূহুর্তে ভেঙে পড়তে পারে। এই রাজনীতি যে কোন ভেঙ্গে পড়তে পারে। দেশের বর্তমান রাজনীতিকে সরকার যে তাসের ঘরে পরিণত করেছে এটা ভাঙ্গতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আগামী দিনে দেশে গণতন্ত্ররে পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে  আনার যে সংগ্রাম তাতে আমাদের জয়ী হতে হবে এবং এ সংগ্রামে জয়ী হলেই বেগম জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ই্উনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আমরা এমন একটি সময় অতিক্রম করছি যখন দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই,যখন  বাংলাদেশে মানুষের ভোটাধিকার অনুপস্থিত, যখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম জিয়া কারাগারে। এই সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন দেশনেত্রীকে মুক্তি করো,গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন ও দেশে যেন ন্য্য়া নীতি প্রতিষ্ঠা করেন। 

নগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, আজ চিকিৎসক সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন অতিমাত্রায় দলীয় রাজনীতির আবর্তে জড়িয়ে পড়ছি। বিভিন্ন পেশাজীবি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো অতিমাত্রায় রাজনীতিকরন হয়ে গেছে। এ ধরণের সংকীর্ণ বিভাজনের রাজনীতি কারো জন্য কল্যাণকর নয়।

সিএমইউজে সভাপতি সামশুল হক হায়দরীর সভাপতিত্বে ও ইফতার মাহফিল উপ-কমিটির আহবায়ক সাইফুল্লাহ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল আমিন রোকন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি বদরুল আনোয়ার, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, বিজিএমই’র প্রথম সহ সভাপতি এম এ ছালাম, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিদ, বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক সাইফুল্লাহ মানসুর।  

মাহফিলে অন্যান্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, সাংবাদিক নেতা ইসকান্দার আলী চৌধুরী,  জাহিদুল করিম কচি, সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, এ্যাব নেতা ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, এডভোকেট কাসেম চৌধুরী, চিকিৎসক নেতা ডা. আব্দুল মান্নান, ইফতার মাহফিল উপ-কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম শিল্পী, মহিলা নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী, ডা. সারোয়ার আলম, ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী ও ডা. লুসি খান।

মাহফিলে মিলাদ পরিচালনা ও দেশ- জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আলেম মওলানা হাফিজুর রহমান।