সীতাকুন্ডে পুলিশ-জেলে ব্যাপক সংঘর্ষে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৮

আবদুল্লাহ আল কাইয়ূম চৌধূরী, সীতাকুন্ড সংবাদদাতা    |    ০০:১৬, মে ২২, ২০১৯

সীতাকুন্ডে আসামি ধরতে গিয়ে পুালশের সাথে জেলেদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে ৮ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে  পুলিশ-জেলেসহ ৩০জন আহত হয়েছে। তবে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের বেধড়ক পিটুনিতে বেলাম্বী জলদাস (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে জেলেরা দাবি করলেও তা অস্বীকার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মবার রাত ১১ টায় সীতাকুন্ডের কুমিরা ঘাটঘর জেলেপাড়া এলাকায় ঘুমন্ত রুবেল দাশ (৩৬)কে নিজ বসতঘর থেকে আটক করেন এসআই জসিম ও সঙ্গীয় ফোর্স। এসময় পরিবারের লোকজন আটকের কারণ জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ রুবেল দাশ ও তার পরিবারের লোকজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে পুলিশের বেধড়ক পিটুনিতে বৃদ্ধা বেলাম্বী দাসের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলেরা জড় হয়ে পুলিশকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এসময় জেলে-পুলিশের মধ্য সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় জেলেরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে মারেন। এতে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টাগুলি ছোঁড়লে ৮ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া দফায় দফায় সংঘর্ষে ওসি তদন্ত আফজাল সহ ৫ পুলিশ এবং ২৫জন জেলে আহত হয়। খবর পেয়ে সীতাকুন্ড থানার ওসি দেলওয়ার হোসেন অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জেলেদের ধাওয়া দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

সংঘর্ষে আহত জেলে সুবল জলদাস জানান, পুলিশ বিনা অপরাধে রুবেল জলদাসকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার পরিবারের লোকজন বাঁধা দেয়। এতে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল ও তার পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক পেটালে বৃদ্ধা বেলাম্বী জলদাসের মৃত্যু হয়। ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী জানান,অভিযুক্ত রুবেল জলদাসকে আটক করতে গেলে পুলিশের সাথে তার পরিবারের কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু এ ঘটনায় একটি বৃদ্ধা নারীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষেল প্রায় ৩০জন আহত হয়।

সীতাকুÐ থানার ওসি (তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান,পুলিশের হামলায় বৃদ্ধার মৃত্যুর খবরটি একটি গুজব। পুলিম রুবেল জলদাসকে আটক করতে যাওয়ার আগে তার মৃত্যু হয়েছিল। জেলেরা মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী রুবেলকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে আমি সহ ৫ পুলিশ গুরুতর আহত হয়।