শিরোনাম
আবদুল্লাহ আল কাইয়ূম চৌধূরী, সীতাকুন্ড সংবাদদাতা | ২৩:৫৬, মে ২৩, ২০১৯
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে জেলে-পুলিশের সংঘর্ষের জেরে সৃষ্ট উত্তেজনা স্বাভাবিক করার লক্ষে প্রশাসন, হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলেদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কুমিরা জেলে পাড়ার ভজন সর্দারের বাড়িতে আয়োজিত এই বৈঠকে নিরপরাধ জেলেদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার না করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় ইতিমধ্যে মোঃ সাইফুল ও মোঃ এবাদুল নামক দুই এস.আই কে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত আনুমানিক রাত ১১টায় সীতাকুন্ডের বড় কুমিরা ঘাটঘর এলাকায় জেলে পাড়ায় রুবেল জলদাশ নামক এক যুবককে গ্রেপ্তার করেন সীতাকুÐ থানার এস.আই জাহিদুল ইসলাম জসীম। এলাকাবাসী রুবেলকে নিরপরাধ দাবী করে তাকে কেড়ে নেয়। এ নিয়ে পুলিশ ও জেলেদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে জেলে-পুলিশসহ মোট ৩০ জনের মত আহত হন। ভাঙচুর করা হয় জেলেদের অর্ধশত ঘর, বিভিন্ন সরঞ্জাম ও দেব-দেবীর মূর্তি। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সুনির্দ্বিষ্ট ৫৯ জন ও অজ্ঞাত ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ১১ জন জেলে। এদিকে এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার আতংকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান জেলে পুরুষেরা। ফলে এ সমস্যা সমাধানে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলে পাড়ায় একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষে ছিলেন সীতাকুÐ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, থানা সার্কেলের এডিশনাল এসপি শম্পা রানী সাহা, ওসি মোঃ দেলওয়ার হোসেন, জেলেদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন খোকন জলদাশ, হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল পালিত, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল চন্দ্র নাথ, স্বপন বণিক, অধ্যাপক রঞ্জিত সাহা, সুলাল দাশ সুনীলসহ অনেকে।
ইউএনও মিল্টন রায় বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর কোন নীরিহ জেলেকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না। এ ঘটনার নেপথ্যে অন্য একদল দুস্কৃতিকারী ছিলো। তদন্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া কতিপয় পুলিশ সদস্যেরও ভূল ছিলো। তদন্ত করে কেবলমাত্র দোষীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধর্মীয় নেতা শ্যামল পালিত ও বিমল চন্দ্র নাথ বলেন, জেলেদের উপর অমানুষিক নির্যাতন হয়েছে। আর যেন কেউ হয়রানি না হয় সে ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছি। তারা আশ^স্ত করেছেন। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীতাকুÐ থানার এস.আই এবাদুল ও এস.আই সাইফুল্লাকে প্রত্যাহারও করা হয়েছে।
সীতাকুÐ থানার ওসি দেলওয়ার হোসেন দুই পুলিশ প্রত্যাহারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আমরা কোন নীরিহ জেলেকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করব না । এখন থেকে তারা নিজ ঘরে থাকবে।
সীতাকুন্ড জেলে পাড়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৬৫৯জনের বিরুদ্ধে মামলা
সীতাকুন্ডে পুলিশ-জেলে ব্যাপক সংঘর্ষে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৮
Developed By Muktodhara Technology Limited