শিরোনাম
জসিম সরওয়ার, আলীকদম (বান্দরবান) সংবাদদাাত | ০০:৪৮, জুলাই ১৩, ২০১৯
গত এক সাপ্তাহের ভারী বর্ষণ এখনো অব্যাহত রয়েছে বান্দরবানের লামা-আলীকদমে। টানা এই বর্ষণের ফলে পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষের জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এখনো বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে টানা বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীর উজান হতে আসা পানি বৃদ্ধি পেয়ে লামা উপজেলার বিতৃর্ণ এলাকা পানির নিছে তলিয়ে গেছে। বন্যা ও দূর্যোগের যেকোন ঝুকি মোকাবেলার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
লামার বন্যা পরিস্থিতির সামগ্রিক উন্নতি হলেও এখনো পানি বন্দি হাজার হাজার মানুষ, ব্যহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন ধারা। অপরদিকে টানা বর্ষনের ফলে ভূমিধ্বসের আশংকাও দেখা দিয়েছে প্রকট। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলীকদম জোনের সহযোগীতার ইতিমধ্যে কয়েকশ মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। বৃহষ্পতিরবার আলীকদম সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর এ,এস,এম ফখরুল ইসলাম চৌধুরী পিএসসি অস্থায়ী আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেন। এসয় আলীকদম সেনা জোনের পক্ষ উদ্যোগে বন্যার্থদের দুপুরের খাবার পরিবেশন করেন।
এবিষয়ে মেজর ফখরুল ইসলাম বলেন, টানা বর্ষনে ভ‚মিধ্বসের আশংকা রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে কিছু লোককে সরিয়ে এনে নোনার বিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জড়ো করেছি। আমরা সর্বদা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে কেউ বড় কোন খতির মুখে না পড়ে। এদিকে আলীকদমে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও ক্ষয় খতির কোন খবর পাওয়া যায়নি। সড়ক যোগাযোগ কিছুটা বিঘ্নিত হলেও বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
গত ৫ জুলাই দিবাগত রাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণ লামা পৌর এলাকাসহ রূপসীপাড়া, গজালিয়া ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের নি¤œ এলাকার ঘরবাড়ি, দোকান পাঠ, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়। এসময় উপজেলার ৫৫টি স্কুল ও মাদ্রাসাকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষনা করা হয়। এতে শতাধিক পরিবারের কয়েকশ মানুষ আশ্রয় নেয়। উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও লামা পৌরসভা এসব পরিবারকে শুকনো খাবার ও খিচুড়ি দিয়ে সহায়তা করেন।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ভাবে উন্নতি দেখা দেয়। কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলায় ঘরবাড়ী, রাস্তা ঘাট, কালভাট ব্রিজ, ফসলী জমির ও মাছ চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited