শিরোনাম
মোবারক হোসেন ভূইয়া | ১৮:৩৯, জুলাই ১৭, ২০১৯
মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চট্টগ্রামের একটি উপজেলা স›দ্বীপ। তাই সবার চোখের বাহিরে থেকে যাচ্ছে সন্দ্বীপের সমস্যা। এরকম একটি সমস্যা সন্দ্বীপ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড সংযোগ সেতু যা হরিশপুর-রহমতপুর সংযোগ সেতু নামে পরিচিত। এটি উত্তর সন্দ্বীপের কয়েকটি ইউনিয়নের লোকদের যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় মাধ্যম। বিশেষ করে সন্তোষপুর, কালাপানিয়া, হরিশপুর ও পৌরসভার হাজারো লোকজন প্রতিদিন এই রুটে চলাচল করে উপজেলা কমপ্লেক্স আসার জন্য।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই সেতুর সংযোগ সড়কটি ছিলো অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক। কিন্তু ২০১৩ সালে অত্যধিক স্রোতের কারণে পৌরসভার খালগুলো প্রসারিত হয়ে প্রায় সবকটি ব্রিজ ও কালভার্ট ভেঙ্গে অকেজো হয়ে যায়। সেই সময়ে একই কারণে এই সেতুটিও ভেঙ্গে পড়ে। আর তখন থেকে দুর্ভোগ নেমে আসে এই চারটি ইউনিয়নের লোকজনের। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানও।
সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর মানুষের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে ২/১ বার পৌরসভা অফিস কর্তৃক ও পরে এলাকার বিত্তবান লোকদের সহযোগিতায় বিশেষ করে কুন্তল রঞ্জনের আর্থিক সহায়তায় একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে কোনোমতে মানুষ চলাচল করে। কিন্তু পরবর্তীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের পর জোয়ারের পানি ঢুকা বন্ধ হওয়ার ফলে পলি জমি খালগুলো আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসে। বর্তমানে সন্দ্বীপের পশ্চিমাংশে বিশাল চর জাগার ফলে এই খালটিতে এখন স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।
বিগত কয়েক বছর ধরে পৌর মেয়র বরাবরে স্থানীয় লোকজন সেতুটি পুনঃনির্মাণের আবেদন করে আসছেন।
যাতায়াতকারীরা বলেন, এই সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে ৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিয়ে বাঘের হাট হয়ে খাদ্যগুদাম রোডের মাধ্যমে সন্দ্বীপ টাউনে যাতায়াত করতে হয়। যার কারণে গুণতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া এবং সময় লাগে প্রায় দ্বিগুণ। ৩/৪টি হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ও কলেজ পড়ূয়া ছাত্রছাত্রীরা অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়ার কারণে ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত হতে পারে না।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র জাফর উল্যাহ টিটু বলেন, এতো বড় সেতুটি করা পৌরসভার পক্ষে অসম্ভব। কারণ যেখানে আমাদের প্রতি অর্থ বছরে ব্রিজটি করতে গেলে অন্যান্য উন্নয়নের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে।
এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা জানান, পৌরসভায় কাজ করা তার এখতিয়ারের বাইরে। তবে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলররা তার বরাবরে আবেদন করলে তা সম্ভব।
একটা সূত্রে জানায়, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে তারাও সাংসদের কাছে যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় এই জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি রাজনৈতিক কোন্দলের শিকার বলে মন্তব্য করছেন সুশীল সমাজের লোকজন। তাই এটি পুনঃনির্মাণের কেউ উদ্যোগ নিচ্ছেন না। দ্রুত ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ করা অতি প্রয়োজন বলে সন্দ্বীপের লোকজনের অভিমত।
Developed By Muktodhara Technology Limited