শিরোনাম
পটিয়া সংবাদদাতা | ১৯:৩৮, জুলাই ১৭, ২০১৯
পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন গ্রামের জায়গা জমি বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ব্যবসায়ী মো: কামাল উদ্দিন (৪০) এর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে ৪৭ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহ’র নির্দেশে পটিয়া সহকারি কমিশনার ভূমি (নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট) সাব্বির রাহ্মান সানির নেতৃত্বে পটিয়া থানার একদল পুলিশ লাশটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেকে প্রেরণ করেন।
চমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার সন্ধ্যায় লাশটি পুনরায় দাফন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মো: জাহাঙ্গীর আলম, এস আই রোকন উদ্দিন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য শওকত আলম, মামলার বাদী মো: জামালসহ নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
মামনার তদন্তকারী কর্মকর্তা পটিয়া থানার এসআই কাজী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, পটিয়া থানার মামলা নং-১১, তাং ০৮/০৫/১৯ এর বাদী মো. জামাল এর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে তার ভাই নিহত মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন (৪০) এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫মে উপজেলার কুসুমপুরা হরিণখাইন গ্রামে জায়গা সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে প্রতি পক্ষের সন্ত্রাসী লোকজন হামলা চালিয়ে মো. কামাল(৪০), চেমন আরা (৩৫), রবিন (১৮) ও মো. জামাল (৩৮) আহত করে। লোহার রডের আঘাতে কামাল উদ্দিন গুরত্বর আহত হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৮ মে মো: জামাল বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে কামাল উদ্দিন ঘটনার ২৩ দিন পর ১লা জুন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যায়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী মো. জামাল জানান, ৮ মে পটিয়া থানায় আনোয়ার হোসেন, আইয়ুব হোসেন, মফিজুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন গং দের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করলে পরে তারা জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসে। এর মধ্যে গত ১ জুন আমার ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আমরা আইনজীবির মাধ্যমে মামলায় হত্যা ধারা ৩০২ ধারা সংযুক্ত করে আসামীদের জামিন বাতিলের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠায় এবং আমার ভাইয়ের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশকে।
এ মামলা বর্তমানে আনোয়ার হোসেন, আইয়ুব হোসেন, মফিজুল রহমান, সাজ্জাদ হোসেন জেল হাজতে রয়েছে। তবে আসামীর লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় ময়নাতদন্তের রির্পোট ভিন্নখাতে প্রবাহিত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন বাদী পক্ষ। এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে সুষ্ঠভাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
নিহতের কামাল উদ্দিনের ১ স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে। বর্তমানে নিহত কামালের পরিবার অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছেন। ছোট ছোট পুত্র কন্যা সন্তানদের ভরণপোষণে হিমশীম খাচ্ছে বলে তার পরিবার জানান।
Developed By Muktodhara Technology Limited