শিরোনাম
জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারা সংবাদদাতা | ১৭:৫৯, জুলাই ১৮, ২০১৯
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় শঙ্খ নদের ভাঙ্গনে তলিয়ে গেল ১৮ বসত ঘর। ভাঙ্গনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে আরো ২শত পরিবার। অসহায় বারখাইন ইউনিয়নের সাহার পাড়া, পূর্ব বারখাইন ও আশপাশ এলাকার ২০ হাজার মানুষ। গত মঙ্গল ও বুধবার জোয়ারের স্রোতে ঘরবাড়ি হারা মানুষ গুরো মানবেতর জীবণ যাপন করছে। ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বেডিবাঁধ নির্মান কাজে অবহেলায় এসব পরিবার সব হারিয়ে নিস্ব হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, গত সপ্তাহের টানা বৃষ্টি ও শঙ্খ নদের অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির কারণে বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ, শাহার পাড়া, মোল্লাপাড়া, পূর্ব বারখাইন, সহ ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে যায়। এতে এলাকার সব শ্রেণীর মানুষ নানান ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়। স্রোতের কারণে মঙ্গল ও বুধবার দুইদিনে স্থানীয় শাহার পাড়ার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ, আবুল বশির, জুনু ড্রাইবার, মো. আরিফ, রুবি আক্তার, নুরুল আলম, রবিজা বেগম, মো. নাজিদ উদ্দিন, এনাম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, আব্দুস সালাম লেদু, নুরুল ইসলাম, আব্দুল আলম, মারিফুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, মো. কামাল, মো. নাসির, বাচা মিয়া, আনোয়ার মিয়া, মো. সৈয়দ, মো. মিয়া, ও মো. মোক্তার সহ ১৮ টি ঘর সম্পর্ন নদীতে তলিয়ে যায়। এবং আরো দুই শতাদিক পরিবার ঝুঁকির মুখে পড়ে। ভাঙ্গন রোধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে আরো বসত বাড়ি বিলিন সহ বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয়রা জানায়, বসত ঘর হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা মানবেতর জীবণ যাপন করছে। গত ১০ বছরে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে তৈলারদ্বীপ, শাহার পাড়া জেলে পাড়া সহ ৫ শতাদিক পরিবার বসত ভিটা হারিয়েছে। নদে বিলিন হয়েছে কবরস্থান, মসজিদ ও মন্দির। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরদারির অভাব, সময় মত বেডিবাঁধ মেরামত না করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা, অনিয়ম- দূর্নীতি ও গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলনের ফলে নদের ¯্রােতের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে এলাকায় ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানায়। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ নাজিম উদ্দিন জানায়,গতকাল বুধবার সকালেই তার পাকা ঘরটি নদীতে বিলিন হওয়ার সময় কোন রকমে পরিবার পরিজন নিয়ে জানে রক্ষা পায়। দুই দিনে আমাদের বাড়ির আটারটি বসত ঘর এভাবে নদীতে চলেগেলেও কোন ধরণের সাহার্য্য আমাদের কপালে জুটেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল আজিজ জানায়, গত দুই দিনে ১৮ টি ঘর নদীতে চলে গেছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির কারণে এলাকার কয়েকশ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এলাকায় মানুষের দুঃখ কষ্ট বাড়ার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষক্ষতি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী অলি আফাজ চৌধুরী জানায়, শাহার পাড়া এলাকায় ১ শত ১০ মিটার বাঁধ ও বেশ কয়েকটি বসত ঘর সম্পন্ন ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ বসানো হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited