শিরোনাম
সোহেল মাহমুদ | ০০:৪৭, আগস্ট ১, ২০১৯
সোহেল মাহমুদ ::: চেন্নাই থেকে দুধ পরীক্ষা করে আনা হয়েছে। কিছু পাওয়া যায়নি দাবি করা হয়েছে ।
স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এ যুদ্ধে সরকার একটা পক্ষ। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় দুধের ভেজাল পরীক্ষা নিয়ে যে কায়দায় মন্তব্য করেছেন, তাতে দুধে বিষাক্ত কিছু থাকলেও জনগণের সেটা হজম করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী খামারের গরু বাঁচবে কিভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আহা! দেশের শীর্ষ ব্যক্তিকে এতো কিছু নিয়ে ভাবতে হয় না শুধু বলতেও হয়। বাকিরা সবাই হাতে তসবিহ নিয়া ঠ্যাং দিয়ে কুমড়া ছিঁড়ছেন।
দুধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কানপড়া বক্তব্য দিয়েছেন।
আরো স্পেসিফিক বলি, তাকে স্বার্থান্বেষী মহল যেভাবে ব্রিফ দিয়েছেন, সেভাবে বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জনগণের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। শুধু তাই নয়, কথিত ভেজালওয়ালাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের যে সাধারণ ধারণা, তিনি সেটাকে ধবলধোলাই দিয়েছেন। দুধে ভেজাল আছে, বিষাক্ত পদার্থ আছে, বলেছেন একদল পরীক্ষক ও গবেষক। এদের কাজই পরীক্ষা আর গবেষণা করা। নিশ্চয় তারা যা বলেছেন দুধ নিয়ে, একটা ভীতের ওপর দাঁড়িয়ে বলেছেন। তারা আপাত দৃষ্টিতে জনগণের পক্ষে বলেছেন। তাদের গবেষণাকে খোদ প্রধানমন্ত্রী যদি প্রশ্নবিদ্ধ করে দেন, যদি তিনি বোঝান যে এ গবেষণা দেশের দুধ শিল্পকে ধংস করার পাঁয়তারা, এটা দুধ আমদানীকারকদের কারসাজি, তাহলে দেশে আর অবশিষ্ট থাকলো কি ভরসা রাখার?
দুধে ভেজাল আছে কি নাই, সেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আপাত দৃষ্টিতে জনগণের বিপক্ষে গেছে। তিনি গবেষণাকাজটি নিয়ে যে তাচ্ছিল্য করেছেন, তাতে অন্য কেউ ভালো কিছু করার ইচ্ছে থাকলেও আমার মনে হয় আর কিছু করবেন না। তিনি ষড়যন্ত্র খুঁজেছেন। সরকারের শীর্ষ ব্যক্তির কাছ থেকে তাচ্ছিল্য, বিদ্রূপ পেলে আর কি লাগে একজন বিবেকবানের?
চেন্নাই থেকে দুধ পরীক্ষা করে আনা মানে দেশে কোন গবেষকে সরকারের বিশ্বাস নেই। ১১ বছর কি কম সময়? সরকার বিশ্বাস না করলেও জনগণ অনেক কিছুতে আস্থা রাখে। এবং, জনগণ অনেক কিছু ভালো বোঝেও। সে কারণে, তাদের বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে আগামীতে দেশী গবেষকদের গবেষণায় "বিষ" "মধু" হয়ে যাবে। গবেষণা হয়ে যাবে আনুষ্ঠানিকতা।
তাই না?
লেখক : উপদেষ্টা সম্পাদক, সিটিজি সংবাদ.কম
Developed By Muktodhara Technology Limited