শিরোনাম
কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা | ০০:০১, আগস্ট ৩, ২০১৯
কুতুবদিয়ায় ২ আগষ্ট চলতি অমাবশ্যার স্বাভাবিক জোয়ারেই ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেল অন্তত দেড় হাজার বসতভিটা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো গত ৩ দিন ধরে দিন-রাতে দু‘বার জোয়ারে নি:স্ব হলেও ত্রাণ বা সহায়তা পায়নি কেউ। আর এই জোয়ারের তান্ডব গুরতর বড়ঘোপ ইউনিয়নের মুরালিয়া গ্রামে।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ৬ নং ওয়ার্ডে একাধিক পয়েন্টে প্রায় ৫০০ মিটার বেড়িবাঁধ নেই। অমাবশ্যার স্বাভাবিক জোয়ারের পানি মুহুর্তেই লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
স্থানীয় দক্ষিণ মুরালিয়ার বাসিন্দা বড়ঘোপ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম জানান, মাত্র ৫০০ মিটার বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে দক্ষিণ মুরালিয়া, আজমকলনী, দক্ষিণ অমজাখালী,প‚র্ব মুরালিয়া,কালাইয়া পাড়া, রোমাই পাড়া, কুমিড়া ছড়া, কালুয়ার ডেইল,ঘোনার মোড়, ঝাইতলা পাড়া প্রভৃতি এলাকা তলিয়ে যায়। আরো ২ দিন জোয়ারের পানি বৃদ্ধি থাকবে। একই ভাবে ভাঙা বেড়িভাঁধ দিয়ে আলী আকবর ডেইল(২,৩,৪,৫,৬,৭) নং ওয়াড়র্ের এবং ১নং ওয়াড়র্ের আংশিক যথাক্রমে তাবালের চর, আনিছের ডেইল,ঘাটকুল পাড়া,বায়ুবিদ্য‚ৎ, হায়দার পাড়া,পন্ডিতপাড়া,কাহারপাড়া,কাজীর পাড়া,সাইটপাড়া, জেলে পাড়া,কিদার পাড়া,সন্ধোপী পাড়া ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়ে শত শত কাঁচা ঘর বাড়ি,শত শত হেক্টর ফসলি জমি এবং মৎস্য ঘের তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আলী আকবর ড়েইল ইউপি চেয়ারম্যান ন‚রুচ ছাফা বি কম।
এছাড়াও উত্তর ধুরুং কাইছার পাড়া, নয়াপাড়া,আকবরবলী ঘাট, ফয়জানি পাড়া, কালারমারপাড়া, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মলমচর,ঘিলাছড়ি,সিকদার পাড়া,মফজল পাড়া,সাইট পাড়া,লেমশীখালী ইউনিয়নের পেয়ারাকাঁটা এবং ৯নং ওয়াড়ের্র বেশ কিছু এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এসব এলাকা তাৎক্ষণিক ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সদ্য নির্বাচিত বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান পরিদর্শন করেন।
এ দিকে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ৪ ইউনিয়ন বিশেষ করে বড়ঘোপ ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ড সম্পুর্ণ এবং ২,৩,৪,৫ নং আংশিক তলীয়ে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সম্মেলনে সকল ইউপি সদস্যদের মুখপাত্র হিসেবে তিনি বলেন, গত দু‘দিনে ৫০০ মিটার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানিতে বড়ঘোপ ইউনিয়নে কাচাঁ, পাকা,আধা পাকা সাড়ে ৪‘শ বসত বিটা তলীয়ে গেছে। দেড় হাজার পরিবার হঠাৎ ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হয়। রোপা আউশ সহ ফসলী আবাদও তলীয়ে যায়।
এসব পরিবারের অনেকই রান্না করতেও পারেনি। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে জরুরী কোন ত্রাণ বা সহায়তা দেয়াও সম্ভব হয়নি।আগামী সাত দিনের মধ্যে তিনি ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামতের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংবাদ কর্মী,ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য-সদস্যাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Developed By Muktodhara Technology Limited