শিরোনাম
মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতা | ১৮:১৪, আগস্ট ৩, ২০১৯
টেকনাফে পাহাড়ী এলাকায় ডাকাতের প্রস্তুতি কালে পুলিশ-ডাকাত বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ও ইয়াবা কারবারী প্রতিপক্ষের গুলিতে ৪(চার) জন নিহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ৩অক্টোবর ( শনিবার) ভোররাত সোয়া ৩টার দিকে এঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুতুবদিয়া লেমসিখালী এলাকার নূর সফার ছেলে আয়ুব (৩৫), একই থানার বাজার ডুরং এলাকার শাহজানের ছেলে জুনাইদ (৩৩), টেকনাফ পৌরসভার ন্যাইট্যং পাড়া (কে,কে পাড়া) আব্দুল গফুরের ছেলে মেহেদী হাসান (৩০) ও মাদারীপুর গনগিয়ারকুল এলাকার মৃত জহির মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লা (২৭)। বন্ধুকযুদ্ধের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ সদস্য আতহ হন।
সুত্র জানায়, শনিবার ভোররাত তিনটার দিকে টেকনাফের নূরউল্লাহ পাহাড় ঘোনা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধ ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শনিবার ভোর রাত ৩টার পরে টেকনাফ উপজেলার নুরউল্লাহ ঘোনা নামক পাহাড়ে একাধিক মামলার পলাতক আসামি আবদুল হাকিম ডাকাত ও কুতুবদিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানার দূধর্ষ পলাতক আসামি জুনায়েদ ডাকাত, আয়ুব ডাকাত, মোস্তাক ডাকাত সহ ১০/১৫ জন ডাকাত অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করতে জড়ো হয়েছে। ওই সংবাদে পুলিশের একটি দল অভিযানে গেলে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাডড়ি গুলি করতে থাকে। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স প্রেরণ করেন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান ডাকাতের এলোপাতাড়ি গুলিকে তোয়াক্কা না করে গুলি করতে করতে কৌশলে সামনের দিকে এগিযয়ে যেতে থাকে। একপর্যায়ে ডাকাতের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়–য়া, এএসআই সজিব, কন্সটেবল মেহেদী গুলিবিদ্ধ হন। গুলাগুলি থামলে অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ জুনায়েদ ডাকাত, আয়ুব ডাকাত ও মোস্তাক ডাকাতদের গ্রেফতার করেন পুলিশ। ঘটনাস্থল হতে ৭টি অস্ত্র, ৫টি কিরিচ, ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত ডাকাত জুনায়েদ, আয়ুব, মোস্তাককে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে গভীর রাতে অপর একটি অভিযানে এস আই মসিউর রহমান ফোর্স সহ মেরিন ড্রাইভ রোডের দরগাহ ছড়া নামক স্থানে ডিউটি করাকালীন একটি সিএনজি কে রাস্তার পাশে সন্দেহজনক ভাবে দাঁড়ানো দেখে পুলিশ উক্ত স্থানে গেলে এক ব্যক্তিকে গুলি করে ২ জন লোক পালাতে থাকে। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। ধৃতরা হচ্ছে, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার পশ্চিম এনায়েতপুরের মোখলেছুর রহমানের পুত্র সাইফুদ্দিন শাহিন (৩৮) ও টেকনাফ থানার হাতিয়ার ঘোনা এলাকার মৃত বাচা মিয়াার ছেলে মোঃ সিদ্দিক (২৭)। এসময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার গাংগিয়ারকুল গ্রামের মৃত জহির মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লা (২৭) কে উদ্ধার করে।
তাহারা জনৈক খলিলের নিকট থেকে ইয়াবা কিনে তা ইমরান মোললাকে খাইয়াছে বলে জানিয়েছেন। ইয়াবা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সাইফুদ্দীন শাহীন ও মোঃ সিদ্দিক তাদের ব্যবসায়ীক পার্টনার ইমরানকে গুলি করেছে মর্মে স্বীকার করে। গুলিবিদ্ধ ইমরান মোল্লা কে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত সাইফুদ্দীন শাহীন ও মোঃ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
Developed By Muktodhara Technology Limited