শিরোনাম
আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফটিকছড়ি সংবাদদাতা | ০১:৪৩, আগস্ট ৬, ২০১৯
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ফটিকছড়িতে ব্যস্থতা বাড়ছে কামারশিল্পীদের দা,বটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন দম ফেলারও সময় নেই তাদের। তারা দিনরাত সমান তালে লোহার টুং টাং শব্দে কাজ করে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায় নাজিরহাট, বিবিরহাট, নানুপুর বাজার, হেঁয়াকো বাজার, কাজীরহাট, আজাদী বাজার, তকিরহাট সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বটি,ধামাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বানাচ্ছে কামাররা। এসব ব্যবহার্য জিনিস স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বাজার থেকে লোহা কিনে সেগুলো আগুনে পুড়ে দা, চাবুক, বটি, ধামাসহ বিভিন্ন জিনিস পত্র তৈরী করছে কামাররা। বর্তমান আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শীল্পের দুর্দিন চললেও পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে এ শিল্প।
দা ছুরিতে শান দিতে আনা আসিফ উল্লাহ বলেন, কদিন পর কামাররা আরো ব্যস্ত হয়ে পড়বে, তাই দা ছুরিতে শান দেওয়ার জন্য আগেভাগেই নিয়ে আসলাম। তবুও তারা দাম বেশি চাচ্ছে।
কামার শিল্পী মধাব বাবু বলেন এক সময় কামারদের যে কদর ছিল বর্তমানে তা আর নেই মেশিনের সাহায্যে বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে। ফলে আমাদের তৈরি যন্ত্রাদির প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হারাচ্ছে । হয়ত বা এক সময় এই পেশা আর থাকবে না।
হেঁয়াকো বাজারের কামার গৈারাঙ্গ বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা এই কাজ করে আসছে। সারা বছর তেমন কাজ হয় না। কোরবান আসলে আমাদের ভাল কাজ হয়। যা দিয়ে সারা বছর চলার জন্য কিছু আয় করে রাখি।
নানুপুর বাজারের কামার শিল্পী অনিল বলেন, এই পেশায় আমরা যারা আছি খুবই অবহেলিত। এই পেশায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। কুরবানির ঈদ আসলে কিছু টাকা আয় করতে পারি।
Developed By Muktodhara Technology Limited