শিরোনাম
জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারা সংবাদদাতা | ০১:৪১, আগস্ট ৭, ২০১৯
আসন্ন কোরবানকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দেশী গরুর পাশাপাশি মহিষের চাহিদাও ব্যাপক হারে বেড়েছে। মহিষের মাংসে সব ধরনের ঝুঁকি কম থাকায় ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে মহিষ। আর এরই মধ্যে আনোয়ারার পশুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভীড়ে জমে উঠেছে বেচাকেনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আনোয়রার প্রসিদ্ধ সরকার হাটের পশুর বাজারে সারি সারি মহিষের পাল। হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সময়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ গরু ও ছাগলেই কোরবানি দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত। এমনকি কয়েক বছর আগেও গরু ছাগল ছাড়া অন্য পশু দিয়ে কোরবানি করত না। তবে এখন সময় পাল্টে গেছে, গরু-ছাগলের পাশাপাশি কোরবানিতে মহিষের চাহিদাও সমানতালে বেড়ে চলেছে।
চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে গরু-ছাগলের পাশাপাশি হাটগুলোতে মহিষের সংখ্যাও প্রচুর দেখা গেছে।
সোমবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় সাইজের একটি মহিষ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৬০ হাজার, মাঝারি সাইজের ৮০ থেকে ৯০ হাজার আর ছোট সাইজের মহিষ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে।
উপজেলার জুঁইদন্ডি গ্রামের গরু ব্যাপারি আব্দুল গণি বলেন, আনোয়ারার বিভিন্ন হাটে এখন গরুর মতোই মহিষেরও চাহিদা অনেক। হাটের বড় একটি অংশ দখল করে আছে মহিষ। দামও নাগালে রয়েছে। তাই পছন্দ হলেই কিনে নেন ক্রেতারা।
তৈলারদ্বীপ সরকার হাট বাজারের ইজারাদার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, এ বছর কোরবানীদের কাছে মহিষ জনপ্রিয় হয়ে উঠায় হাটে গরু ছাগলের পাশাপাশি মহিষের পরিমানও প্রচুর। অন্যান্য বছরের চেয়ে বিক্রিও হচ্ছে বেশি।
আনোয়ারায় সরকার হাট ছাড়াও চাতরী চৌমহনী বাজার, রুস্তম হাট, মিন্নত আলীর হাট, ওয়াহেদ আলী চৌধুরী বাজার, দোভাষীর বাজার,ছাত্তার হাট, মালঘর বাজার,কানু মাঝির হাট, জৈদ্দার হাট, আন্নর আলী সিকদার হাটসহ ছোট বড় ১৫টি হাট বাজারে কোরবানের পশুর বাজার বসে। এসব বাজারে আনোয়ারা ছাড়াও বাঁশখালী, পটিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা আসে কোরবানির পশু কিনতে। এসব বাজারে গরু মহিষের পাশাপাশি ছাগলের ক্রেতা- বিক্রেতাও রয়েছে সমপরিমান।
বরুমচড়া এলাকার খামারি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ভারত থেকে গরু না আসলেও স্থানীয় খামারিদের গরুতেই চাহিদা মেটানো সম্বব হবে।
আনোয়ারায় ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ে যেন কেউ প্রতারিত না হয় সে জন্য বিভিন্ন বাজারে প্রশাসন ও স্ব-উদ্যোগে জাল টাকা শনাক্তের মেশিনও রাখা হয়েছে। সতর্ক অবস্থানে আছে আইন শৃংখলা বাহিনীও।
আনোয়ারা ্থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহমুদ জানান, আইন শৃংখলা রক্ষায় ঈদ পর্যন্ত মাঠে থাকবে পুলিশ। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে পুলিশের একটি দল প্রতিটি পশুর হাটে টহলে থাকবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited