শিরোনাম
আনোয়ারা সংবাদদাতা | ০০:১২, আগস্ট ১৮, ২০১৯
ফেইসবুকে পরিচয় হয় নাসরিন আক্তার রিয়া (৩৫)ও মো.মনচুর আলমের (২৮)। তারপর প্রেমেরর সম্পের্ক জড়িয়ে যায় তারা। নাসরিন আকতার সৌদিয়া থেকে চলে আসে আনোয়ারায় মনচুর আলমের কাছে। বিয়েও হয়ে যায় দুই জনের। কিন্তু গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আনোয়ারা হাসপাতাল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নাসরিন আকতার রিয়ার।
ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারার বরুমচড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে।
জানা যায়, গত ৫ মাস আগে নাসরিন আক্তার রিয়ার সাথে মো. মনচুর আলমের প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। নাসরিন আক্তার চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের বালুচর গ্রামের মো.আবুল হাশেমের প্রথম কন্যা। আর মনচুর আলম আনোয়ারার বরুমচড়া ইউনিয়নের ৬নম্বও ওয়ার্ডের আবদুস সবুর চকিদারের পুত্র। ১৫ বছর পূর্বে নাসরিন আকতারের সাথে বরিশাল জেলার দৌলদী থানার নওপাড়া বাহদুর এলাকার মো.রফিকের সাথে বিবাহ হয়। ঐ ঘরে নাসরিন আকতারের দুই কন্যা এক ছেলে রয়েছে। অভাব অনটনের কারণে দুই বছর পূর্বে নাসরিন আকতার সৌদি আরবে চাকরীর জন্য চলে যায়। সেখান থেকে ফেইসবুকে সম্পর্ক হয় মনচুর আলমের সাথে। ৫ মাস আগে নাসরিন আকতার দেশে এসে মনচুর আলমের বাড়ি চলে আসে। এবং দুই জনের মধ্যে ১ লক্ষ টাকার দেনমোহরে বিবাহ হয়। গত শুক্রবার মনচুর আলম ও তার মা বাচু আকতার নাসরিন আকতারকে আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক নাসরিন আকতারকে মৃত ঘোষণা করে থানা ফোন করে। আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক( এসআই) আকরাম হাসপাতাল থেকে নাসরিন আকতারের লাশ উদ্ধার করে।
এসময় পুলিশের কাছে স্বামী ও শাশুড়ীর কথাবার্তা সন্ধেহ জনক মনে হওয়ায় স্বামী মনচুর আলম (২৮) ও তার মা বাচু আকতার(৫৫) কেও আটক করে। মনচুর আলমের মা বাচু আকতার জানায়, আমার ছেলের সাথে ফেইসবুকে নাসরিন আকতার রিয়ার সম্পর্কের মাধ্যমে বিবাহ হয়। গত শুক্রবার বিকালে আমি নাসরিন আকতারকে তার কক্ষ থেকে ডাকতে গেলে নাসরিন আকতারের সাড়া শব্দ না পেয়ে ছেলেকে জানায়। পরে তার অবস্থা খারাপ দেখে আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
নাসরিন আকতারের বাবা আবুল হাশেম মুন্সী জানান, আমার মেয়ের ১৫ বছর আগে বরিশালের মো. রফিকুল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়। গত ২ বছর পূর্বে মেয়ে সৌদি আরবে চাকরির জন্য চলে যায়। গত ১৫ আগষ্ট সন্ধা সাড়ে ৭ টায় একটি নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে বলে, "বাবা আমাকে বাঁচাও"। এর পর ঐ নম্বরটি বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকালে পুলিশ ফোন করে জানায় আমার মেয়ে মারা গেছে।
এব্যপারে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল মাহামুদ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কতৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পেরে নাসরিন আকতার (রিয়া) নামে একটি মেয়ের লাশ উদ্ধার করি। এসময় মেয়েটির স্বামী ও শাশুড়ি পরিচয়দানকারী দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এবং নাসরিন আকতারের পরিবার চাঁদপুর থেকে আসতেছে বলে জানিয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited