শিরোনাম
প্রতিবেদক | ১৩:৫৩, আগস্ট ২০, ২০১৯
ঋণ খেলাপি মামলায় চট্টগ্রামের বাগদাদ গ্রপের চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান আলমগীরের স্ত্রী ও সিডিএর চেয়ারম্যান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষের ভতিজি মেহেরুন নেছা (৪৮) গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মেহেরুন নেছাকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ।
পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের খুলশী থানার কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশের একটি টিম তাকে নিয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, ‘খেলাপি ঋণের তিন মামলায় মেহেরুন নেছার সাজা হয়েছে। সাজামূলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি আরও ছয়টি মামলায় নিয়মিত পরোয়ানা আছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় বসবাস করছিলেন। ইতোপূর্বে সিএমপির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানার বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দিয়ে এ্যলার্ট করা হয়েছিল। বিমানবন্দরে অবতরণের পর ইমিগ্রেশনে তাকে আটক করা হয়।’
গ্রেফতার হওয়া মেহেরুন নেছা চট্টগ্রাম নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারের নবী দোভাষের মেয়ে। তার চাচা জহিরুল আলম দোভাষ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।
খুলশী থানার জাকির হোসের সড়কের পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার তানভীর হাউজে মেহেরুন নেছাদের বাড়ি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে মেহেরুন নেছা তার ব্যক্তিগত শাফিয়াল ট্রেডিং নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের সুদসহ ৫ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ৬৭৫ টাকা পাওনা না দেওয়ায় মেহেরুন নেছার নামে প্রতিষ্ঠানটি আদালতে পর পর ৯টি মামলা করেন। এসব মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ারা জারি করেন বিভিন্ন সময়।
এদিকে, বাগদাদ গ্রপের চেয়ারম্যানের স্ত্রী হলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মেহেরুন নেছার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তানভীর খান।
তিনি বলেছেন ব্যক্তিগতভাবে বাড়ী তৈরী করার জন্য ওনি ব্যংকর ঋণ নিয়েছেন। বাগদাদ গ্রুপের নামে তিনি কোন লোন নেননি।
Developed By Muktodhara Technology Limited