শিরোনাম
সীতাকুন্ড সংবাদদাতা | ০০:৪৭, আগস্ট ৩০, ২০১৯
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বন্দুকযুদ্ধ শেষে ৪ ডাকাত আটকের ঘটনাকে বানোয়াট ও সাজানো বলে দাবী করা হয়েছে আটকৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাবে গ্রেপ্তার হওয়া ৪ যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী করা হয়।
আটক হওয়া ফাহিমুল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তার লিখিত বক্তব্যে দাবী করেন, তার স্বামী একটি ব্রিক ফিল্ডের কর্মচারী। সেখানে নাইট ডিউটিতে থাকা অবস্থায় রাতে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাকর্মী তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ডাকাতের নাটক সাজিয়ে অস্ত্র দিয়ে ডিবি পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আটক হওয়া আরেকজন মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের মা নুর বানু ও গুলিবিদ্ধ বাবুল এর স্ত্রী মোছাম্মৎ দেলোয়ারা একই অভিযোগ করে বলেন, জাহাঙ্গীর ও বাবুল দুজনেই সলিমপুরের একটি ব্রিক ফিল্ডে চাকুরি করেন। তারা সবাই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী হওয়ায় তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র দিয়ে ডাকাত সাজিয়ে চালান করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, যদি তাদের কাছে গ্রেপ্তারের সময় অস্ত্র পাওয়া যেত এবং তারা প্রকৃত দোষী হতো তাহলে গ্রেপ্তারের একদিন পর পর্যন্ত কেন গোপন রাখা হলো। পরদিন থানা, ডিবি কার্যালয় কোথাও গ্রেপ্তারকৃতদের সন্ধান পায়নি পরিবার। তারপর মিডিয়ার সুবাদে বিকালে জানতে পারে দু’জন মেডিকেলে ভর্তি এবং দুজন ডিবি হেফাজতে। এটা পরিকল্পিত এবং সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই নয়। বিএনপির সমর্থক হওয়াটাই তাদের অপরাধ বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এর মালিকানাধীন সীতাকুন্ড থানার জঙ্গল ছলিমপুর বাগান বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে জেলা ডিবি পুলিশ।
অভিযানকালে ডিবি পুলিশের সাথে ডাকাত দলের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় দুই ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ উল্লেখ করে।
পুলিশ আরো জানায়, ডাকাত দলের কাছ থেকে উদ্ধার করা অন্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৩টি দেশীয় পাইপগান, ১টি বন্দুক, ২ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ ও ১টি কার্তুজের খোসা।
Developed By Muktodhara Technology Limited