image

আজ, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

শুনানি এড়াতে হাসপাতালে বাঁশখালীর পৌর মেয়র

বাঁশখালী সংবাদদাতা    |    ১৭:৩৬, অক্টোবর ২২, ২০১৯

image

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পৌরসভার চার কাউন্সিলর। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুনানির নির্ধারিত দিনের আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিযুক্ত পৌর মেয়র।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় পৌর সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. আল বশিরুল ইসলাম, পৌরসভার সচিব, কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এলাকার সুধীজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু শুনানি চালাকালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন না; অভিযুক্ত মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী।

তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো হলো- পরিষদের মাসিক সভায় কাউন্সিলরদের মতামত গ্রহণ না করা, ভুয়া টেন্ডারের ফাইল তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়নের কোটেশন দেখিয়ে বিদ্যুতের মালামাল ক্রয়, বিচারের নামে টাকা আত্মসাৎ, অবৈধ নিয়োগ প্রদান ও ঘুষ গ্রহণ, টেন্ডারে অনিয়ম, নারী কর্মচারিদের সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহারসহ ১২টি অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য তদন্তে আসেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজী।

এছাড়া মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ দেলোয়ার হোছাইন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবলা কুমার দাশ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দীলিপ চক্রবর্তী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল কবির সিকদার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, পৌরসভার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মিয়ার বাজার ইজারার টাকা ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে মেয়র আত্মসাৎ করেন। পৌরসভা সদরের সামনে ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে চারটি দোকান নির্মাণ করা হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিয়ে মেয়রের মনোনীত চার ব্যক্তিকে দোকানগুলো দিয়ে দেওয়া হয়। দোকান প্রতি ৩ লাখ টাকা করে সেলামির নামে নিলেও তা পৌরসভার অ্যাকাউন্টে জমা না দিয়ে মেয়র আত্মসাৎ করেন। 

২০১৯-২০ অর্থবছরে গ্যাস প্রকল্পের (ক্ষতিপূরণ বাবদ) ২২ লাখ ২৭ হাজার টাকা বাঁশখালী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পায়। ওই টাকা প্রাইম ব্যাংক বাঁশখালী শাখায় জমা করা হয়। পরে মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী একক স্বাক্ষরে প্রাইম ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এ ছাড়াও জরুরি ভিত্তিতে রাস্তার সংস্কার করার জন্য ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীলিপ চক্রবর্তীর নামে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক ইস্যু করা হয়। কিন্তু মেয়র ওই কাউন্সিলরকে না জানিয়ে ওই টাকা তুলতে কাউন্সিলরের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

এসব অভিযোগের আলোকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি পৌরসভা কার্যালয়ে তদন্তে আসেন এবং শুনানি কার্য অনুষ্ঠিত হয়। তবে শুনানি চালাকালীন সময়ে খোদ মেয়ের উপস্থিত ছিলেন না। শুনানির দুদিন আগে (২০ অক্টোবর) মেয়র শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, মেয়র স্ট্রং ডায়েরিয়ায় (পাতলা পায়খানা) আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।



image
image

রিলেটেড নিউজ

Los Angeles

২৩:৫৭, জুন ১৪, ২০২২

মিরসরাইয়ে ট্রাক চাপায় রিকশা নিহত ২, আহত ২ 


Los Angeles

২০:০৫, জুন ১৩, ২০২২

চন্দনাইশে ইয়াবা ও চোলাই মদসহ আটক ২


Los Angeles

২৩:৩৩, জুন ১১, ২০২২

ইয়াবা পাচারকালে চন্দনাইশে আটক ১


image
image