শিরোনাম
মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতা | ২৩:৫১, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত এবং পুলিশের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে আহত এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত ও ৩পুলিশ আহত হয়েছে। গুলাগুলির ঘটনায় এলাকায় আতংক সৃষ্টি হয়। আহত ৩ পুলিশ হচ্ছে, কনস্টেবল মিঠুন, শাহীন ও হাবিব ।
সুত্রে জানা যায়, ১৪ নভেম্বর ( বৃহস্পতিবার) রাতের প্রথম প্রহরে পুলিশের হাতে আটক পাহাড়ে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, স্বশস্ত্র ডাকাত মাহমুদুল হাছানের স্বীকারোক্তি মতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেদুয়ান আহমদের নেতৃত্বে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত এবং পুলিশের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। পুলিশও সরকারী সম্পদ এবং আতœরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় আটক আসামী গুলিবিদ্ধ ও তিন পুলিশ আহত হয়। আটক আসামী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃত ব্যক্তি হচ্ছে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ বøকের মৃত বাকের আহমদের পুত্র মাহমুদুল হাসান (৩৭) । সে পাহাড়ে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, অপহরণকারী চক্রের স্বশস্ত্র সদস্য, মানব পাচার ও একাধিক মামলার ফেরারী আসামী বলে পুলিশ জানায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১টি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড বুলেট।
ডাকাত মাহমুদুল হাসানকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গুলাগুলিতে নিহত ডাকাত মাহমদুল হাছান পাহাড়ের স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী, অপহরণকারী চক্রের স্বশস্ত্র সদস্য, মানব পাচার ও একাধিক মামলার পলাতক আসামী। তাকে আটকের পর তার স্বীকারোক্তি মতে পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় গুলিবিদ্ধি হয়ে আহত হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়।
Developed By Muktodhara Technology Limited