শিরোনাম
আনোয়ারা সংবাদদাতা | ২৩:১৯, মার্চ ১০, ২০২০
আনোয়ারা উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক চাতরী চৌমুহনী এলাকার প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নিত্যদিন যানজট লেগেই থাকে। প্রতি শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিনে এ যানজট বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণে। এতে করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, কক্সবাজার জেলার পেকুয়া, চকরিয়ার লাখো মানুষের প্রতিদিন দূর্ভোগের শেষ নেই । যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও ভাসমান ব্যবসায়ীদের সড়ক দখল করাকেই দায়ী করছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাতরী চৌমহনী বাজারের সিইউএফল সড়ক ও পিএবি সড়কের দুই পাশ দখল করে অবৈধভাবে সিএনজি স্টেশন ও ভাসমান দোকান বসিয়ে সড়কের দুই তৃতীয়াংশ দখল করে আছে। যানজটের উৎপত্তি এখানেই। লাগামহীন এ দখল আর অবৈধ বাণিজ্যই মানুষের জীবনযাত্রাকে স্থবির করে দিয়েছে যানজটের কবলে ফেলে।
স্থানীয়রা জানান, এসব দোকান ও সিএজি অটোরিক্সার চালকরা ট্রাফিক পুলিশকে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে থাকে। সকাল ও সন্ধ্যায় কেইপিজেডের শ্রমিক বহনকারী শতশত গাড়ি আসা-যাওয়ার সময় এ যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এছাড়া ছোট-বড় যানবাহনগুলো যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করানোর ফলেও যানজটের সৃষ্টি হয়। এসব কারণে পারকি সমুদ্র সৈকতে আসা পিকনিকের গাড়ি, বঙ্গবন্ধু টানেলের গাড়ি, পেকুয়াগামী সাইনলাইন ও এসআলম সার্ভিসের মত বড়-বড় গাড়িকেও যানজটে আটকে থাকতে দেখা গেছে।
যাত্রীরা জানান, এই প্রবেশ মোড়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শহর থেকে তিন উপজেলার লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম এই সড়কটিতে যানজট লেগেই থাকে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনে অবহেলাও এর জন্য দায়ী। মানুষের এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশকে আরো দায়িত্ববান হতে হবে। সড়কের দুই পাশ থেকে ভাসমান বাজার ও অবৈধ সিএনজি স্টেশনগুলো তুলে দিতে হবে।
চাতরী চৌমুহনী ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক ইনচার্জ সামিউর রহমান বলেন, সকাল ও সন্ধ্যায় একটু যানজট হয় কেইপিজেডের বাড়তি গাড়ির চাপের কারণে। স্থানীয় কিছু ড্রাইভার কোনো কথা শুনতে চাই না। তাদের ইচ্ছে মত গাড়ি পার্কিং করে রাখে। আগামী মাসে ট্রাফিক আইন পুরোপুরি চালু হলে এ সমস্যা সমাধান হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited