শিরোনাম
ডেস্ক | ২৩:৪৭, মে ৪, ২০২০
কুয়েতের মরু এলাকায় দুর্বিসহ ক্যাম্পজীবন থেকে ৫ হাজার বাংলাদেশীর দেশে ফেরার অনিশ্চয়তা কাটছেনা। এরইমধ্যে বিদ্যুৎ আর ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। খাবার আর থাকার কষ্টে অতিষ্ট হয়ে শেষপর্যন্ত রোববার রাতে বিক্ষোভ করেছে তারা। যা নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলিও ছোঁড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। তিন সপ্তাহে ক্যাম্পে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন ৪ বাংলাদেশী।
এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি কুয়েতে বিশেষ ক্যাম্পে থাকা ভিসাহীন ৫ হাজার বাংলাদেশীর ভবিষ্যত। আরও বেড়েছে দুর্ভোগ।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে দেশে ফিরতে কুয়েত সরকারের কাছে আবেদনের পর, তিন সপ্তাহ ধরে ক্যাম্পে আছেন এসব বাংলাদেশী। যাদের রাখা হয়েছে কুয়েত-ইরাক সীমান্তবর্তী মরু এলাকায় ক্যাম্পে।
বাংলাদেশীদের অভিযোগ, এসব ক্যাম্পে নেই পর্যাপ্ত পানি এবং খাবার। প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন চার জন।
ক্যাম্পে বাংলাদেশিদের সাথে আছে মিশরীয়রাও। রোববার রাতে তারা একসাথে শুরু করে আন্দোলন। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে হয় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে।
তবে সবশেষ ঘটনার বিষয়ে অবহিত না থাকলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিফোনে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে জানান, বাংলাদেশীদের চাহিদা পূরণে কাজ করছে দূতাবাস।
এদিকে কুয়েতের এক সংসদ সদস্য আব্দুল করিম আল কান্ডারি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেসব দেশ তার নাগরিকদের ফেরত নেবে না, তাদের আরব উন্নয়ন তহবিলের অর্থ যেন দেয়া না হয়, সেজন্য আবেদন করবেন তিনি।
খবর : চ্যানেল২৪
Developed By Muktodhara Technology Limited