শিরোনাম
ডা. মোরশেদ আলী | ১৭:৩৫, মে ২৩, ২০২০
দূর্ভাগ্যজনকভাবে চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। প্রতিদিন যে পরিমান রোগী সনাক্ত ঘোষণা হচ্ছে বাস্তবে হয়ত এর ১০ গুন রোগী টেস্ট এর আওতার বাইরে সংক্রমণ হচ্ছে। এমতাবস্থায় রোগীদের ভিড় লেগে আছে হাতে গোনা তিনটি হাসপাতালের স্যাম্পল কালেকশন বিভাগে। সেখানে শৃঙ্খলার অভাব এবং ভোগান্তির কথা হামেশাই শোনা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে যে জিনিসটা আমাকে আতংকিত করে তা হলো সেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখার বিষয়টি, ফলে যারা করোনা আক্রান্ত না কিন্তু টেস্ট করতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছে। আশা করি সবাই দায়িত্বপূর্ন আচরণ করবেন।
যাঁরা এখন স্যাম্পল দিচ্ছেন তাদেরকে গড়ে ২ থেকে ৮ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অথচ রিপোর্ট আসার আগেই হয় রোগী নিজে থেকে ভালো হয়ে যাচ্ছে অথবা মুমূর্ষু অবস্থায় করোনা হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছে যাদের মধ্যে কিছু রোগী হয়তো আদৌ করোনার না। তাই দীর্ঘসূত্রীতার ফলে টেস্টের সুফল থেকে রোগী রা বঞ্চিত হচ্ছে।
আমি জানি এর কারণ টেস্ট ফ্যাসিলিটির তুলনায় স্যাম্পল এর আধিক্য, ফলে ভয়াবহ স্যাম্পল জটে পড়েছে চট্টগ্রামের ল্যাবগুলো। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে নিচের কয়েকটি বিষয় ভেবে দেখতে পারেন কর্তৃপক্ষ।
১) পুরনো স্যাম্পলগুলোর সুরাহা করা। পুরনো স্যাম্পলগুলো দেশের কম ব্যস্ত ল্যাবে পাঠানো যেতে পারে, অথবা ঢাকায়।
২) পুরোনো স্যাম্পল এর মধ্যে ফোন করে যেসব রোগী পুরো সুস্থ আছে তাদের স্যাম্পল ডিসকার্ড করে তাদেরকে হোম কোয়ারান্টাইন এ থাকতে বলা।
৩) রোগী’র একবার পজিটিভ আসার পর ফলোআপ স্যাম্পল আপাতত না নেওয়া। সিম্পটম দেখে সুস্থ ঘোষণা করা।
৪) একই রোগী যাতে একাধিক হাসপাতালে টেস্ট করতে না পারে সেদিকে নজর দেয়া।
৫) ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার টার্গেট নেওয়া এবং সেই পরিমান স্যাম্পল কালেকশন এর টার্গেট ঠিক করা।
৬)রিপোর্ট নেগেটিভ / পজিটিভ উভয়ক্ষেত্রে মেসেজ দেওয়া।
৭) দ্রুত আরো কয়েকটি প্রাইভেট ল্যাবকে অনুমোদন দেওয়া।
আশা করি কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন।
লেখক : মেডিকেল অফিসার, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।
কত করোনা রোগী থাকতে পারে আপনার আশেপাশে?
Developed By Muktodhara Technology Limited