শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩:২৬, মে ২৩, ২০২০
পুলিশি পাহারা ডিঙিয়ে মাইক্রোবাস কক্সবাজারের পথে যাত্রা করতেই নিজের দল নিয়ে দ্রুত শাহ আমানত সেতুর মাঝপথে গিয়ে থামালেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।। ‘ইমার্জেন্সি রোগী’ স্টিকার লাগানো গাড়িটি থেকে একে একে নামিয়ে আনেন ভাড়া গাড়িতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়া তিন পরিবারের যাত্রীদের।
শনিবার (২৩ মে) বিকেল ৫টায় নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকায় অভিযানে এ দৃশ্য ধরা পড়ে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাইক্রোবাসটি ব্যক্তিগত ছিল। তার উপর রোগী পরিবহনের কথা বলে ‘ইমার্জেন্সি রোগী’ স্টিকার লাগিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার অতিক্রম করে যাচ্ছেন। শাহ আমানত সেতুর ট্রাফিক পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে মাইক্রোবাসটি শাহ আমানত ব্রিজের মাঝপথে চলে আসে। বিষয়টি খেয়াল করে আমি একটি টিম নিয়ে গাড়িটি থামাই সেতুর ওপরই। এ সময় মাইক্রোবাসচালক এবং যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
মো. তৌহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘একই গাড়িতে কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘপথ ভ্রমণ করলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি প্রবল। এ অপরাধে ড্রাইভারকে আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই তিনটি পরিবারের যাত্রীদের চট্টগ্রাম শহরে তাদের নিজ বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।’
ঠিক একই কায়দায় ভাড়ায় চালিত মোটর যাত্রী নিয়ে ট্রাফিক পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে যেতে পারলেও ব্রিজে গিয়ে ধরা পড়েন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট’র হাতে। বান্দরবান এবং কক্সবাজার অভিমুখী ১৫টি মোটরসাইকেলের চাবি জব্দ করা হয়। মোটরবাইকের যাত্রী এবং চালকদের নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited