শিরোনাম
ইকবাল কবির, ব্যুরো চীফ (ঢাকা) | ১৪:৫২, মে ২৭, ২০২০
মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন অফিস সহায়ক গত একমাসের ব্যবধানে দুই দফা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।এ ছাড়া এই হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ দেড় শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী করোনা পজেটিভ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। এদের বেশীর ভাগই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার অনেকে নয়াবাজার মহানগর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জ্বরও ফ্লুো (সংক্রমক) রোগের সমন্বয়ক ডাঃওয়াসিম চক্রবর্তী হাসপাতালের ১৫০ জন স্বাস্থ্য সেবাদানকারী ও কর্মীর করোনা পজেটিভ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিটিজি সংবাদ.ডটকম এর ঢাকা অফিসকে তিনি জানান, করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসাদের মধ্যে ৪৯জন ডাক্তার, ৩৩ জন সেবিকা ও অফিস স্টাফসহ অন্যান্য ৬৮জন রয়েছেন।
ডাঃ ওয়াসিম বলেন, সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার পর আমরা প্রথম থেকেই আমাদের হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পৃথকভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বর্তমান পরিচালক দায়িত্ব গ্রাহনের পর থেকেই তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা হাসপাতালের করোনা ছাড়াও সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখি। কিন্তু রোগীরা করোনা আক্রান্তের তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নেয়ায় আমাদের হাসপাতালে এক সঙ্গে নার্সসহ অর্ধশত স্বাস্থ্য সেবাদানকারী আক্রান্ত হওয়ায় আমরা চিকিৎসক ও নার্স সংকটের সম্মুখীন হই। তবে ইতি পূর্বে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের সবাই সুস্থ হয়ে আবার চিকিসৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনায় নয়াবাজার মহানগর হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার সকল লজিষ্টিক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন করে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়ায় এখন চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের কোন সমস্যা নেই বলা যায়। হাসপাতালের অফিস সহকারী শফিকুর রহমান একবার আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হওয়ার পর একমাসের ব্যবধানে দুই দফা করোনা পজেটিভ আসায় তাকে নয়াবাজার মহানগর হাসপাতাল চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অফিসসহকারী শফিক হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে কর্মরত থাকাকালেই আবারও করোনায় আক্রান্ত হন।
এদিকে শফিকের দ্বিতীয় দফায় করোনা পজেটিভ আসার পর থেকেই হাসপাতালে কর্মরত অন্যান্য স্টাফদের মাঝে ভয় কাজ করছে।অনেকেই মেচ ছেড়ে হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী ফ্ল্যাটের রুম নিয়ে পৃথকভাবে থাকতে শুরু করেছেন। হাসপাতালে অন্যান্য চিকিৎসা কার্যক্রম সীমিত আকারে থাকলেও রোগীর সংখ্যা কম। আগের মতো হাসপাতালে রোগী ভর্তির নেই দৌড়ঝাঁপ। সবখানে সুনশান নিরবতা বিরাজ করছে।
Developed By Muktodhara Technology Limited