শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০০:৫৬, মে ৩১, ২০২০
করোনাভাইরাস প্রতিরোধের সন্মুখযোদ্ধা বলা হয় স্বাস্থ্যসেবার সাথে সংশ্লিষ্টদের। সামনে থেকে সেবা ও সাহসে তারা মানুষকে জাগিয়ে তুলছেন করোনা প্রতিরোধে। আর এ সন্মুখযোদ্ধাদের মৃত্যুর মুখেও দায়িত্ব পালনে অমানবিক ও হটকারী এক আদেশ জারি করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩০ মে) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান স্বাক্ষরিত এ আদেশটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানবিক মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে একটি অমানবিক সিন্ধান্ত হিসেবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনাও লক্ষ্য করা গেছে।
জারিকৃত আদেশে বলা হয়, কোনো চিকিৎসক করোনা পজেটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসলে আইসোলেশনে থাকতে হবে না। এছাড়া কোনো সুরক্ষা সামগ্রী হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হবে না। বাসা বাড়ী লকডাউন হলেও সবাইকে চাকরীতে আসতে হবে অন্যথায় অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য হবে।
করোনার এমন দুর্যোগকালীন সময়ে কোনরূপ জীবন মরণের চিন্তা না করেই এতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কোভিড-১৯ পজিটিভ হবেন কেবলমাত্র তারা ১০ দিনের আইসোলেশন বা হাসপাতালে অবস্থানের সুযোগ পাবেন। কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগী সংস্পর্শে আসবেন তাদের কাউকে কোনো প্রকার আইসোলেশনে যেতে হবে না। কেউ গিয়ে থাকলে তিনি অনুপস্থিত হিসাবে গণ্য হবেন।
এতে আরও বলা হয়, যে সমস্ত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কোভিড-১৯ পজিটিভ ব্যক্তির সাথে কোনো ফ্ল্যাট বা বাসায় অবস্থান করেন এবং ওই ফ্ল্যাট বা বাসা লকডাউন হলেও ওই সমস্ত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে লকডাউনের আওতার বাইরে ধরে নিয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত হতে হবে।
তাছাড়া চতুর্থ নির্দেশনায় বলা হয়, সকল শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিস সময়সূচী অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং পঞ্চম নম্বর নির্দেশনায়, কোনো সুরক্ষা সামগ্রী চমেক থেকে সরবরাহ করা হবে না বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শামীম হাসানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Developed By Muktodhara Technology Limited